আগামী ৫ মে রাজ্যের তৃতীয় বার সরকার গঠনের বর্ষপুতিতে তৃণমূল ও রাজ্য সরকারকে পৃথক দুই কর্মসূচি পালনের জন্য ময়দানে নামবেন তিনি। তাঁর সরকারের একাদশ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ৫ মে থেকে ৬ জুন একঝাক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
সেই অনুষ্ঠানের সুচি ঠিক করতে বুধবার নবান্নে রাজ্যের সব শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি এ বিষয়ে স্পষ্ট রূপরেখা ঠিক করে দেবেন। দফতরগুলির ১১ বছরের সাফল্যের সামগ্রিক রিপোর্ট তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।
সরকার গত ১১ বছরে বাংলার মানুষের জন্য কী কী কাজ করেছে এই কর্মসূচিতে সেই খতিয়ান তুলে ধরা হবে। সূত্রের খবর, আগামী ৫ মে থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হওয়ার কথা।
সেই দুয়ারে সরকার শিবিরের শুরুর দিনগুলিতে রাজ্যের প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে প্রদর্শনী করা হতে পারে। এ নিয়ে জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, সরকারের তরফে দুয়ারে সরকার, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাঙার, সবুজ সাথী, যুবশ্রী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হবে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে। জায়গায় জায়গায় প্রকল্পগুলির উপর ভিত্তি করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে প্রচারের অঙ্গ হিসেবে প্রশাসনের পাশাপশি মমতার দল তৃণমূল দিদিকে বলো -২’ কর্মসূচি পালন করবে।
প্রথমে ঠিক ছিল, জয়ের বর্ষপূর্তিতেই তৃণমূল এই কর্মসূচি করবে। আর সরকার ৫ মে থেকে কর্মসূচি শুরু করবে। কিন্তু ঈদ উৎসবের কারণে দলীয় কর্মসূচি ২ মে’র বদলে ৫ মে শুরু করা হবে বলে স্থির হয়েছে।
এ বিষয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতাদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। আর প্রশাসনের ক্ষেত্রে আধিকারিকদের তিনি এ বিষয়ে নির্দেশ দিত পারবেন বুধবারের বৈঠকে। তবে দু’টি ক্ষেত্রেই পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব নিজের হাতে রাখতে পারেন মমতা।