তবে আগামী ২৪ ঘন্টা পর থেকেই আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে রবিবার থেকেই ঠান্ডা কমবে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে তাপমাত্রা। শুধু তাই নয়, সামনেই মকর সংক্রান্তি। এই সময় একটু ঠাান্ডা আবহাওয়া থাকে। উত্তুরে হাওয়া বয়। কিন্তু এবার সেইরকম জাঁকিয়ে শীতের কোনও আশা নেই বলেই পূর্বাভাসে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। তবে এখনই বিদায় নিচ্ছে না শীত। বরং এবার দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে ঠান্ডা। মাঘের শুরুতে ফের একবার বঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে পারে বলে ইঙ্গিত আবহাওয়া দপ্তরের। তবে এই কয়েকদিন ঘন কুয়াশার প্রভাব থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। রবি এবং সোমবার দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কালিম্পং-এও সোমবার হালকা বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। দার্জিলিঙে তুষারপাতও হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা ।
মরশুমের শীতলতম দিন শনিবার, কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১২.৩ ডিগ্রিতে
এক ধাক্কায় কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১২.৩ ডিগ্রিতে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, গত ১৫ ডিসেম্বর কলকাতায় পারদ নেমেছিল ১২.৫ ডিগ্রিতে। প্রায় এক বছরের মাথায় আরও একবার পারদ নামল ১৩ এর নীচে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবারই মরশুমের শীতলতম দিন। শুধু কলকাতা নয়, এক ধাক্কায় দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা অনেকটা নেমে গিয়েছে। তবে রবিবার থেকেই ফের তাপমাত্রার বড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা। আরও একবার বাড়তে পারে তাপমাত্রা । পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে বাধা পেতে পারে উত্তুরে হাওয়া। এর ফলে ফের কমতে পারে শীতের দাপট। কিন্তু তার আগে শনিবার অনেকটাই দাপট দেখাল শীত।
কলকাতার পাশাপাশি পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঠান্ডার দাপট এদিন ছিল অনেক বেশি। শ্রীনিকেতন, পানাগড়, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। শুধু তাই নয়, আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার নিরিখে উত্তরের কালিম্পং এবং দক্ষিণের পুরুলিয়ার মধ্যে জোর টক্কর দিয়েছে। আর শেষমেশ কালিম্পংকে পিছনে ফেলে দিয়েছে দক্ষিণের এই জেলা। শনিবার কালিম্পং-য়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি, অন্যদিকে পুরুলিয়ার তাপমাত্র ৬.৫।