• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

গড়ে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ অভিষেকের

এই পূর্ব মেদিনীপুর শুভেন্দু গড় বলে পরিচিত। আর সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই পূর্ব মেদিনীপুর শুভেন্দু গড় বলে পরিচিত। আর সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার ভিড়ে ঠাসা শ্রমিক সমাবেশ থেকে এই জেলার ‘ভূমিপুত্র’ কে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্বকেও সমঝে দিলেন তিনি।

এই জেলায় প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে তৃণমূলেরই একাংশ তলে তলে দল বদলে গেরুযা শিবিরে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর ‘অনুগামী ‘ হিসাবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ।

এদিন সরাসরি সেই ‘একাংশকে’ অভিষেকের বার্তা ,” মনে রাখবেন তৃণমূলে থেকে দাদার অনুগামী হওয়া চলবে না। কে বা কারা আগের দিন বিএমএসে’র পতাকা তুলে পরের দিন তৃণমূলে এসেছে, তার তালিকা আমার কাছে আছে।

সভায় আসতে আসতে আরও ৪-৫ জনকে চিহ্নিত করেছি। দলের বিভীষণদের চিহ্নিত করেছি। মনে রাখবেন দলে একটাই দিদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

একসময় এই জেলাতে রাজ্যের শাসক দলের কার্যত ‘মুকুটহীন সম্রাট’ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সংগঠন থেকে প্রশাসন, শেষ কথা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীই।

যদিও শেষ পর্যন্ত দল ছাড়েন তিনি, এমনকী নন্দীগ্রামে পরাজিত করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই।

শনিবারের শ্রমিক সমাবেশ থেকে তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” ১১ বছর ধরে একটা লোক সব শেষ করে দিয়েছ। মানুষের টাকা, নিজে কোটি কোটি টাকা করেছেন। দিল্লিতে গিয়ে মেদিনীপুরের সম্মান বিক্রি করেছেন।”

এরপরই নাম না করে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে অভিষেক বলেন,” উনি কথায় কথায় বলেন- আমি অকৃতদার, আরে আপনি অকৃতদার নন, আপনি অকৃতজ্ঞ।”

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন ,” যার নেতৃত্বে উত্তর কলকাতায় এই জেলার গর্ব বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হল, এই জেলার একসময়ের মাথা তাঁর পদ লেহন করেন। নিজেকে ইডি- সিবিআই থেকে বাঁচাতে দল বদল করল।”

ইদানিং সিন্ডিকেট, কাটমানি, তোলাবাজি সহ একাধিক ইস্যুতে বিদ্ধ জোড়া ফুল শিবির।

তবে কোনও ভাবেই যে আর তা রেওযাত করা হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে অভিষেক বলেন,” তৃণমূল করলে ঠিকাদারি করা যাবে না। আর ঠিকাদারি করলে তৃণমূল করা যাবে না। দল করতে হবে বুকে দলীয় পতাকা নিয়ে। ক্ষমতায় থাকলে ঠিকা দা রি করা চলবে না।”

পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বকেও তাঁর বার্তা, ” যারা শ্রমিক সংগঠন করেছেন, তাদের একটাই পরিচয় খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি। নেতাদের বলছি রাস্তায় নামুন।”

সামনেই হলদিয়া পুরসভার নির্বাচন, তাই সাবধানে পা ফেলতে চায় শাসক দল।

এই নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার মাপ কাঠিও নির্দিষ্ট করে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” কোনও ঠিকাদার আর যারা দল বদল করে তৃণমূলে এসেছেন তারা হলদিয়া পুরভোটে টিকিট পাবেন না। “