নিরাপত্তায় জোর প্রশাসনের, শহরের মেডিক্যাল কলেজে বসছে আরও ক্যামেরা

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার পরে সব হাসপাতালেই নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাসপাতাল চত্বরে সুরক্ষার ব্যবস্থাসহ একাধিক দাবিতে ৪২ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। হাসপাতালগুলির সুরক্ষা নিয়ে রাজ্য প্রশাসন কী ভাবছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্টও। তারপরেই তৎপর হয়ে ওঠে রাজ্য প্রশাসন। চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা ব্যবস্থায় ওই হাসপাতালগুলিকে সিসি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে। সূত্রের খবর, আরজি করের সব ক’টি ভবনের প্রতিটি তলাকেই সিসি ক্যামেরা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হবে। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সর্বত্র ৫০০টিরও বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। ইতিমধ্যেই ১০০টি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

এক পুলিশকর্তা জানান, আরজি করে বর্তমানে ১৯০টি সিসি ক্যামেরা আছে। তবে সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বাকি জায়গাগুলিও সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হবে। এর জন্য পুলিশের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে আরজি করের নিরাপত্তায় রয়েছে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ৬০ জন পুলিশকর্মীও।

সূত্রের খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বর্তমানে ৩৩০টিরও বেশি সিসি ক্যামেরা আছে, যা দিয়ে ওই হাসপাতালের বিভিন্ন ভবন থেকে শুরু করে গোটা চত্বরে নজরদারি চালানো হয়। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ওই হাসপাতালের সব ক’টি ভবনের প্রতিটি তলাতেই সিসি ক্যামেরা বসিয়ে দেওয়া হবে। নতুন করে বসানো হবে প্রায় ৪০০টি সিসি ক্যামেরা। যার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও প্রায় ৬০০টি ক্যামেরা বসানো হবে। এনআরএসে বর্তমানে ১৩০টি সিসি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চালানো হয়। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে প্রায় ৩০০টি সিসি ক্যামেরার সাহায্যে চলে নজরদারি। সেখানে আরও ৮০০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা।


এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, এসএসকেএম হাসপাতালে প্রায় ১২০০টি সিসি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চলে। সেখানে আরও সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়া, এম আর বাঙুর হাসপাতাল, বিসি রায় শিশু হাসপাতালসহ শহরের বহু হাসপাতাল চত্বরেই সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এ জন্য পুলিশের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।