বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু তিনি তাকে ফোন করেছেন।
সোনিয়া গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’একটা পরম্পরায় আছেন যিনি রাষ্ট্রপতি দ্বারা সর্বসম্মতিতে হোক রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নির্বাচন তিনি এনডিএ বড় জোটের প্রার্থী তিনি সবার কাছে আবেদন করছেন আপনারা সর্বসম্মতভাবে আমাকে ভোট দিন জেতানো।
উনি তার তরফ থেকে প্রচার করেছেন হয়তো অন্য রাজ্য যেতে পারেন প্রচার করতে সেই কাজ উনি করেছেন বাকি যারা আছেন অন্য পার্টির,তারা বিচার বিবেচনা করবেন।
এছাড়া আসানসোলের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি একুশে জুলাই এর মঞ্চে ভরানো নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন।
এইভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে তারা লোককে নিয়ে আসে তৃণমূলের মিটিং মিছিলে যারা আসে কর্মী-সমর্থক কেউ আসে না যারা সিন্ডিকেট চালায় যারা।
১০০ দিনের কাজ করে সেই লোকেরাই গাড়ি ভর্তি করে আসে চুপচাপ বসে এটাই তৃণমূলের পার্টি পার্টিতে কর্মী বা রাজনৈতিক কর্মী বিশেষ কেউ নেই ব্যবসায়ী ও করে খাওয়া লোকেরই আসে।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকারকে পরেশ কন্যার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া ও বেতন সুদ সমেত বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন কোটের বিচারাধীন বিষয়ে চলছে তারা যা নির্দেশ দিয়েছে সবাইকে মানতে হবে দুর্নীতি যে ব্যাপক হয়েছে এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে।
এখন সরকারের কর্তব্য সেটাকে ঠিক করা যারা যোগ্য তাদের চাকরি পাওয়ার অধিকার আছে তাদের চাকরি দেওয়া যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন পরীক্ষা না দিয়ে ফেল করে।
স্বাভাবিকভাবেই তাদেরকে বাতিল করছে যে পরেশ অধিকারী খাদ্য মন্ত্রী থাকাকালীন ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন এই ৬১৪ জন নিয়োগ হয়েছে বাতিল করা হয়েছে।
শিক্ষা বিভাগে এখন আছে সেই দুর্নীতি হারিয়েছেন নিজের লোকদের আত্মীয়দের চাকরি দিয়েছেন এইভাবে বাংলার রাজনীতিকে বাংলা সমাজকে ব্যাপক কলুষিত করেছে সেই কলুষতা দূর করার প্রয়াস শুরু হয়েছে।
কোর্টের মাধ্যমে সিবিআই এর মাধ্যমে আমাদের বিশ্বাস আছে এবং দাবি এটা শেষ পর্যন্ত উচিত পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের দুর্নীতিরাজ বন্ধ হওয়া উচিত।
লকেট চ্যাটার্জি বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন পাল্টা লকেট চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করছেন।
সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন মামলা করলে কেটে যাবে বিচার্য বিষয় আর লকেট চ্যাটার্জি যখন বলেছেন নিশ্চয়ই তার কাছে বহু তথ্য প্রমাণ আছে।
এরকম বহু তথ্য আমাদের কাছে আসছে আমাকে মেলেও পাঠাচ্ছেন কোন কোন লোক চাকরি পেয়েছেন আমার কাছে একটা পুরো লিস্ট এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের কতজন নেতা-নেত্রী চাকরি পেয়েছেন ৯৭ জনের তালিকা আমার কাছে আছে।
আমরাও সেই তালিকা দেখছি পরে সেই তালিকা সংবাদমাধ্যমকেও দেবো বলে তিনি বলেন।
২০০৬ সালে ইস্ট কলকাতা ওয়েটলান্ড অ্যাক্ট অনুযায়ী পঞ্চায়েত এরিয়াতে কংক্রিট নির্মাণ করা যাবে না কিন্তু সেখানে কংক্রিট নির্মাণ হচ্ছে।
সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন এখান থেকে যে রাস্তা ভাঙ্গড়ের দিকে গেছে কিংবা চন্দননগরের পেছনে এই সমস্ত রেস্ট্রিক্টেড যান। সেখানে বিশাল বিশাল বাংলো সেই সব সরকারি জায়গা দখল করে হয়ে গেছে আর তৃণমূলের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদতে এগুলো সব হয়েছে।
আমার মনে হয় এগুলো আদালতে যাওয়ার দরকার আছে না হলে ব্যাপারটা পরিস্কার হবে না কলকাতাকে বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাবে।
লোক আদালতে কেন যাচ্ছেন সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে এই সরকার শুনছেনা সরকারের লোকেরা সমস্ত অনৈতিক কাজের মধ্যে যুক্ত হয়ে গেছেন।
তাই মানুষকে বাধ্য হয় আদালতে যেতে হচ্ছে আদালত যখন একবার গুরুত্ব দিয়ে শুনেছে আমার মনে হয় আগামীদিনে এর সমাধান আদালতেই হবে।
মোদিজীর আট বছরের শাসনকাল পূর্তী নিয়ে বিশেষ কার্যক্রম ১৫ দিন সম্পন্ন হয়েছে এবার আগামী নির্বাচনের কাজ শুরু হয়েছে সাংগঠনিক কাজ শুরু হয়েছে।