নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ১৭ জুলাই পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল আদালতের বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পর প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুবোধ সিংহ বলেছিল, “আপলোগ কেয়া বোল রহা হ্যায়, হামকো কুছ সমঝ মে নেহি রহা হ্যায়।অউর কিতনা বুরা বনাইয়ে গা হামে!” অন্য একটি খুনের মামলায় শনিবার সুবোধকে হাজির করানো হয়েছিব ব্যারাকপুর আদালতে।
আসানসোলের মতো এদিন ব্যারাকপুর আদালতে ঢোকার সময়ও ভাবলেশহীন নির্বিকার দেখিয়েছে বিহারের কুখ্যাত গ্যাংস্টার সুবোধ সিংকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসতে দেখা যায় তাঁকে। যেন কিছুই হয়নি! যা দেখে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বেলঘরিয়ার রথতলায় বিটি রোডের ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডল। গত ১৫ জুন ব্যবসায়ী অজয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
অজয়বাবু বলেন, “আমি এখনও আতঙ্কে রয়েছি। বাড়ির সামনে বহু অচেনা মুখ ঘোরাফেরা করে। তার ওপর টিভিতে তো দেখলাম, পুলিশি ঘেরাটোপেও হাসিমুখে রয়েছে অভিযুক্ত!” ওই গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। এদিন সুবোধকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে প্রকাশ , রাজ্যের একের পর এক অপরাধের সঙ্গে নাম জড়িয়ে আছে বিহারের জেলবন্দি কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ সিংয়ের। অভিযোগ জেলে বসেই সে মাফিয়া রাজ চালায়। সম্প্রতি তাকে ট্রানসিট রিমান্ডে রাজ্য আনে সিআইডি। ২০২২ সালে ব্যারাকপুরের প্রসিদ্ধ বিরিয়ানির দোকান ডি বাপিতে গুলি চালানোর ঘটনায় সুবোধ জড়িত। সম্প্রতি এই দোকানের কর্ণধারের পুত্রকেও তোলা চেয়ে হুমকি দিচ্ছিল তার লোকেরা। বাংলায় একাধিক খুন, গয়নার দোকানে ডাকাতি, তোলাবাজির ঘটনাতেও সুবোধের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
২০২২ সালে রানিগঞ্জের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা ও এক সোনার দোকানের ডাকাতি ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে পুলিশের খাতায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত সুবোধ। পুলিশ সূত্রের খবর, বিহারের বেউর জেলে বসে তার নেটওয়ার্ক চালাত সুবোধ। সুবোধের দাপট এতটাই যে জেলবন্দি অবস্থাতেও সিআইডির তদন্তকারী ইন্সপেক্টরকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।