বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জানিয়েই নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল। তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই এর নির্দেশে। এইভাবে অধ্যক্ষ পদের অবমাননা করে চার্জশিট পেশ করায় সিবিআই এর ডেপুটি ডাইরেক্টর সত্যেন্দ্র নারায়ণ সিং এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর রথীন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ করা হল বুধবার, বিধানসভার চলতি অধিবেশনের শেষ দিনে।
বিধানসভায় এই নোটিশ পেস করেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় এবং তা সমর্থন করেন বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। এই নোটিশ বিধানসভায় গৃহীত হয় এবং তা প্রিভিে কমিটিতে পাঠানো হবে। বিজেপি অবশ্য এই নোটিশের বিরোধিতা করেছে। আগামীদিনে স্বাধিকারভঙ্গ কমিটির বৈঠকেও বিজেপি বিধায়করা এর বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সম্প্রতি নারদকাণ্ডে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের নামে চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার অধ্যক্ষকে না জানিয়ে শুধুমাত্র রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েই জনপ্রতিনিধিদের চার্জশিট কেন দেওয়া হল তার ব্যাখ্যা চেয়ে ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর ওই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বিধানসভায় তলব করা হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেদিন কোনও সংস্থার তরফেই প্রতিনিধিরা বিধানসভায় উপস্থিত না হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।
পরে অবশ্য দুই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিককেই হাজিরা দিতে হয়। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি বুধবার বিধানসভায় তারই বিকল্পে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ ধরানো হল।