লকডাউন মানা হচ্ছে না রাজ্যের সর্বত্র। এই মর্মে সতর্ক করে দিয়ে রবিবার ফের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি পাঠালো কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর আগেও গত ১০ এপ্রিল আরও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল নর্থ ব্লক থেকে। লকডাউন বিধি মেনে চলা এবং না মানা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে বিতর্ক চলছেই।
রবিবার যে চিঠি এসে পৌঁছেছে নবান্নে সেখানে বলা হয়েছে লকডাউন মান হচ্ছে না রাজ্যের সর্বত্র। শিলিগুড়িতে এমন অনেক দোকান খুলে রাখা হয়েছে, যেগুলি জরুরি পণ্যের দোকান নয়। আবার মুর্শিদাবাদেও বিধি না মেনে প্রয়োজন ছাড়াই ধর্মীয় জমায়েত করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র গত ২৪ মার্চ যে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন চালু করেছে, সেই সুত্রেই এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে।
তবে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অন্য রাজ্যগুলিকেও লকডাউনের বিধি মানার জন্য চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে লকডাউন মানা হচ্ছে না রাজ্যের সর্বত্র। বিভিন্ন জায়গায় অকারণে জমায়েত করছে মানুষ। এই সুত্রে শিলিগুলিতে অত্যাবশকীয় পণ্য বিক্রি হয় না এমন কিছু দোকান খুলে রাখা এবং মুর্শিদাবাদে অহেতুক ধর্মীয় জমায়েতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
লকডাউন যাতে যথাযথভাবে মানা হয়, সেজন্য রাজ্যকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। এছাড়া পণ্য পরিবাহী ট্রাকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের ও নজরদারিতে যাতে কোনও শিথিলতানা থাকে সেজন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। এর আগেও কলকাতার কিছু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে লকডাউন মানা হচ্ছে না, এমন অভিযোগ করা হয়েছিল। অত্যাবশকীয় পণ্য নয়, এমন জিনিস বিক্রিতে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে।
সেই চিঠি পাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন দিল্লি কমিউনাল ভাইরাস ছড়াচ্ছে। দিল্লি কাদের ওপর নজর রাখতে বলেছে সে কথা তো সবাই জানে। স্বরাষ্ট্র দফতরের চিঠি আসার পর সোমবার রাজ্যপালও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হুঁশিয়ারি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।