• facebook
  • twitter
Wednesday, 2 April, 2025

তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তর দমদমের সিপিএম কাউন্সিলর সন্ধ্যারানি

এবার ভাঙন ধরল বাম শিবিরে। সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তর দমদম পুরসভার কাউন্সিলর সন্ধ্যারানি মণ্ডল।

আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই ময়দানে নেমেছে সকল রাজনৈতিক দল। এবার ভাঙন ধরল বাম শিবিরে। সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তর দমদম পুরসভার কাউন্সিলর সন্ধ্যারানি মণ্ডল। সন্ধ্যা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বলা ভাল, উত্তর দমদমের একমাত্র সিপিএম কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। এমনকী একমাত্র বিরোধী কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর দল ছাড়ায় বামেদের যে আরও শক্তি ক্ষয় হল বলাই যায়। শনিবার সন্ধ্যার হাতে পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

বস্তুত, ২০২২ সালে পুরভোটে ৩৪ ওয়ার্ড বিশিষ্ট উত্তর দমদম পুরসভার ৩৩ টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে যায়। ১৫নং ওয়ার্ড জিতে নেয় সিপিএম। দীর্ঘ তিন বছর সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্ধ্যারানি মণ্ডল সিপিআইএম দলের অন্তরে থেকে কাজ করেছিলেন। দলত্যাগী কাউন্সিলর জানান, তাঁর কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় সকলের জন্য কাজ করার জন্য তাঁর তৃণমূলে যোগদান। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান,”উনি আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ তাঁকে দলে যোগদান করানো হলো। এই যোগদানের ফলে উত্তর দমদম পুরসভা বিরোধী শুন্য হল।”

সিপিএম মুখপাত্র শতরূপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল থেকে যখন অন্যান্য লোকজন বিজেপি-তে যায় সেক্ষেত্রে তৃণমূল যা বলে আমাদেরও তাই বলার। ওদের দলের লোক দলবদল করলে সেটা ঠিক, আর অন্য দলের লোক দলবদল করলে সেটা ভুল, এটা হতে পারে না। বামেদের সময় বাংলায় এই দলবদলের রাজনীতি কোনও দিনই ছিল না। আমরা সরকারে থাকা অবস্থায় কোনও বিরোধী দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে আমাদের দলে আনিনি। এনে অন্যায় ভাবে ভুল পথে ক্ষমতা দখল করতে যাইনি। এই কালচার তৃণমূল এনেছে। যেদিন বাংলা থেকে ওদের তাড়াব এই সংস্কৃতীকেও বাংলা থেকে তাড়াব।”