চা শ্রমিকদের ধর্মঘটের নামে পাহাড়ে রাজনৈতিক অশান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় ফেরত আসার জন্য বাগডোগরা বিমানবন্দরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বাগডোগরায় দাঁড়িয়ে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘বোনাস সংক্রান্ত চা শ্রমিকদের সমস্যা তো লেবার কমিশন দেখছে। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে চা শ্রমিকদের বোনাস সমস্যার সমাধান হবে। বোনাসের বিষয়ে লেবার কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। চা শ্রমিকদের বোনাস সমস্যায় আমাদের হস্তক্ষেপ করার কিছু নেই।’
চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জি জানান, ‘বাংলায় বনধ হয় না। পাহাড়ে কোনও ধর্মঘট হচ্ছে না। ধমর্ঘট আমরা সমর্থন করি না। পাহাড়ে বনধের নামে রাজনৈতিক ভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ১৩-র বদলে ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে সোমবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছে সেখানকার ৮টি শ্রমিক সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেয় চা শ্রমিকরা। চা শ্রমিকদের এহেন আচরণে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ধর্মঘটের সমর্থনে চা শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছেন। তবে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত দার্জিলিং শহরে ধর্মঘটের খুব একটা প্রভাব দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকান খোলাই রেখেছেন। বনধ সমর্থকরা জোর করে দোকান বন্ধের চেষ্টা করলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় এবং তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। কার্শিয়াং শহরে বনধ সমর্থকরা পর্যটকদের গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কালিম্পং জেলার পরিস্থিতিও কিছুটা একই রকম; সেখানে ধর্মঘটের বিশেষ কোনও প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।