• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

রেহাই ঘূর্ণিঝড়ে, প্রবল বৃষ্টিপাতে রেকর্ড  গড়ল হলদিয়া–ডায়মণ্ডহারবার

পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। তবে সময়ের সাথে এই বেগ ধীরে ধীরে কমেও আসে।

বাংলায় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব তেমনভাবে না পড়লেও উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে চলছে লাগাতার বৃষ্টিপাত। যদিও ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে ওড়িশায়, তবে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চলছে লাগাতার বৃষ্টিপাত। শুক্রবার সকাল থেকে সেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বেড়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে এই বৃষ্টি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে হয়েছে।আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওড়িশার বালেশ্বরের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া ও ডায়মন্ড হারবারে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বালেশ্বরে ৬৮.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যেখানে হলদিয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮০ মিলিমিটার এবং ডায়মন্ড হারবারে ৯৩ মিলিমিটার। অন্যদিকে, ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া সদরে ৬৭.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও সাগরে এই পরিমাণ ছিল ৯০ মিলিমিটার। তবে ভদ্রকের চাঁদবালিতে সর্বাধিক ১৫৮.৬ মিলিমিটার এবং কেন্দাপাড়ার রাজকণিকায় ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ স্থলভাগে প্রবেশ করে, প্রধানত ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মাঝামাঝি অংশ দিয়ে। এরপর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। তবে সময়ের সাথে এই বেগ ধীরে ধীরে কমেও আসে।