প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করল এনআইএ। আগস্ট মাসে বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাতেই কুখ্যাত দুষ্কৃতী সোনু ওরফে মহম্মদ আমিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার ভোরে এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোনু তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছে বিজেপি। যদিও বারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে কড়া দলীয় নেতৃত্ব। কোনও রকম সমাজবিরোধীর কোনও স্থান নেই। প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। পার্থ বলেন, এতদিন এলাকায় বহু দুষ্কৃতী মাথাচাড়া দিয়েছিল, এবার তাদের দমন করার পালা।
আগস্ট মাসে বিজেপির ডাকা বনধের দিন উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় একটি চার চাকার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। রবি সিংহ এবং প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডে এই দুই নেতা জখম হয়েছিলেন। অর্জুনের দাবি ছিল, গুলির আঘাতে প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের মৃত্যু অবধি ঘটতে পারত। ওইদিন কাঁকিনাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন প্রিয়াংঙ্কু। চালকের পাশের সিটে বসেছিলেন তিনি। পিছনের সিটে ছিলেন রবি সিং।
মাঝরাস্তায় কয়েকজন যুবক তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এর আগে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে মামলা হলে এনআইকে তদন্তভার দেয় আদালত।
জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এই ঘটনার দায় ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘাড়ে চাপিয়েছিলেন। বলেছিলেন, অর্জুন নিজে গুলি ছুড়েছে, আর ওঁর দলবল এই বোমাবাজি করেছে। এর পাল্টা অর্জুন বলেন, খুনের পরিকল্পনা নিয়েই হামলা চালানো হয়েছিল।
বিজেপি নেতা অর্জুনের অভিযোগ, মোট ৭ রাউন্ড গুলি চলেছে। হামলাকারীরা জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গী। অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। হামলার গোটা ঘটনা সোশাল মিডিয়ায় লাইভ করেন গাড়িতে থাকা এক পুলিশকর্মী। সেই ভিডিও-ই ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে।