• facebook
  • twitter
Sunday, 13 April, 2025

আজ চাকরিহারাদের বৈঠক, মমতা কী বলেন তাকিয়ে সব পক্ষ

যোগ্য চাকরিহারাদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে দেবেন। কারণ তিনি কখনও কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল। এর জেরে চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৫২ জন। এর মধ্যে রয়েছেন যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ মেনে নিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যোগ্য ও বঞ্চিত চাকরিহারাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আজ সোমবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই সভায় তিনি চাকরিহারাদের কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী। অপরদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

যোগ্য চাকরিহারাদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে দেবেন। কারণ তিনি কখনও কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি (রিভিউ পিটিশন) নিয়ে রাজ্য সরকার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। অন্যদিকে অনেক যোগ্য চাকরিহারারাও আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, চাকরিহারাদের সব রকমভাবে আইনি সহায়তা করবে রাজ্য।

সোমবার ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ ২০১৬’–এর সভা নিয়ে শাসক–বিরোধী শিবিরে তরজা শুরু হয়েছে। শাসকদলের নেতৃত্বের দাবি, প্রথম থেকেই চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারের বৈঠক থেকে তাঁদের আশার পথ দেখাতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কথা মতো কাজ করলে চাকরিহারারা সুরাহা পাবেন। অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, মমতার জন্যই যোগ্য চাকরিহারাদের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাই এ বিষয়ে তাঁর কোনও বার্তা দেওয়া শোভা পায় না।

অপরদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, সোমবারের বৈঠকে বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ছোটো ছোটো গ্রুপ করে লোক ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। এর জন্য একযোগে বিজেপি ও সিপিএমকে নিশানা করেছেন কুণাল। এই দুই দল চাকরিহারাদের প্ররোচনা দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর হুঁশিয়ারি, কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলেন রেয়াত করা হবে না। প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। তাঁর কথায়, ‘বিরোধীদের মদতে প্ররোচনা দিয়ে কালকের সভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। বিরোধীরা চান না মুখ্যমন্ত্রীদের কথা সবাই শুনুক। একাধিক সূত্রে খবর এসেছে, নানা প্রলোভন দেখিয়ে গ্রুপে গ্রুপে লোক ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কী বলতে চান, তা শুনতে দেবেন না তাঁরা।’

মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অযোগ্য চাকরিহারাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে যোগ্য চাকরিহারাদের সংগঠন ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ ২০১৬’। মমতার সভায় যোগদানের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় এসেছেন যোগ্য চাকরিহারারা। নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একাধিক আবেদন জানাবেন তাঁরা। এই নিয়ে সংগঠনের তরফে বৈঠকও হয়েছে। সম্মিলিতভাবে যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা এ দিন মমতার সামনে তুলে ধরবেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের সব সমস্যা শুনে সমাধানের চেষ্টা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে তিনি কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে শাসক–বিরোধী সব শিবিরই।