অনুব্রত চাইলে এই গণহত্যা রুখতে পারতেন, বললেন নাজিমা বিবির স্বামী

নাজিমা বিবির স্বামীর দাবি, অনুব্রত চাইলে এই গণহত্যা রুখতে পারতেন। অনুব্রত চাননি। উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এর আগেও মুখ খুলেছিলেন তিনি।

মঙ্গলবার সেই কথাই ফের একবার উঠে আসে সেকলালের মুখে। ফের তিনি দাবি করেন, ভাদু শেখের কালো কারবারের টাকা যেত অনুব্রতর কাছে।

অনুব্রত মণ্ডলের শাস্তি চেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে একটি ছবিও দেখান তিনি এবং সেই ছবি দেখিয়ে সেখলাল দাবি করেন পুলিশের উপস্থিতিতেই আগুন লাগানো হয়েছিল।


বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী নাজেমা বিবি ৬৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

সোমবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্ত্রীর মৃত্যুর পর হাসপাতালে দাঁড়িয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন নাজিমার স্বামী সেকলাল শেখ।

মঙ্গলবার সেকলাল জানান, অনুব্রত কাজ করতে দেয়নি। যেগুলি জ্বলেছে, অনুব্রত যদি চাইতেন একটা বাড়িতেও আগুন লাগত না উনি তো সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়েছেন।

হয়ত আমাদের কেউ মরতও না। হয়ত কোনও বাড়িতে আগুনও লাগত না। এর সমস্ত মূলে রয়েছে আনারুল, অনুব্রত, এসডিপিও এবং আইসি।

গতকাল সেকলাল যে অভিযোগ করেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল তোলাবাজির ভাগ পেতেন। সেই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার তাঁকে প্রশ্ন করা হলে সেকলাল বলেন, অনুব্রত ভাগ খায়।

যখন রামপুরহাটে কোনও নতুন অফিসার আসে ভাদু তাঁকে প্রথমে একটা গাড়ি গিফট করে। ভাদুর লোক ছাড়া যারা তৃণমূলের লোক আছেন, এরাও ভাদুর ভাগ খেত, এরাও ভাদুর সঙ্গে জড়িত।

তার মধ্যে রয়েছে আনারুল, অনুব্রত, এসডিপিও এবং আইসি। সেই সঙ্গে মোবাইলে একটি ছবি দেখিয়ে সেকলাল দাবি করেন, আগুন লাগানোর সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল।

বলেন, পুলিশ উপস্থিত ছিল। পুলিশ থেকেই কাজ হয়েছে। সারা রাত ধরে বাড়িগুলিতে আগুন দেওয়া হচ্ছে , আগুন জ্বলছে, যারা দুষ্কৃতী তারা সারা রাত ঘোরাফেরা করছে, একাধিকবার বোমা পড়ছে। ওরা আওয়াজ পাচ্ছে। কিন্তু আসছে না। দমকল বাহিনীকেও জল দিতে দিচ্ছে না।