আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অনেক তথ্যের এখনও কোনও কিনারা করতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এরই মধ্যে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এই মেডিক্যাল কলেজে একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মর্গের মৃতদেহ থেকে হাসপাতালের বর্জ্য পাচার সহ একাধিক অনিয়ম সামনে এসেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর কয়েকদিন আগে আর্থিক দুর্নীতির জেরে সন্দীপকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।
পাশাপাশি, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের তদন্তের আগে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের তদন্তেও গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও তদন্ত প্রক্রিয়া ঠিকমতো এগোচ্ছে না। পলিগ্রাফ পরীক্ষা করেও সন্দীপ ঘোষকে একচুল নড়ানো যায়নি। দিল্লির সিএফএসএল (সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি)-এর রিপোর্টে তাঁর বয়ানের সঙ্গে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। তাঁর বয়ান বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করা হয়েছে। তাঁর বেশ কিছু বক্তব্য খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করছেন শীর্ষ গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
কারণ, এই ঘটনার নেপথ্য গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেজন্য নার্কো অ্যানালিসিসের পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এমনটাই সূত্রের খবর। এজন্য তাঁকে গুজরাতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানেই তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করানোর চিন্তা ভাবনা। সেজন্য আদালতের অনুমতি প্রয়োজন।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ আদালতে এব্যাপারে আবেদন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখন অভিযুক্তদের সম্মতি ও আদালতের অনুমতির ওপর বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত সম্মতি না জানালে আদালত সোজাসুজি বিষয়টিকে ‘না’ করে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এর আগে অভিযুক্ত সিভিক সঞ্জয় রায়ের নার্কো অ্যানালিসিসের দাবি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। কিন্তু সঞ্জয় আপত্তি জানাতেই বিষয়টি আদালত নাকচ করে দেয়।