কোচবিহার, ২৯ জানুয়ারি: একটা সময় কোচবিহারকে আলাদা রাজ্য করার দাবিতে উত্তাল হতো কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গ। রাজবংশী সম্প্রদায়ের সেই আন্দোলন এখন এখন আর দেখা যায় না। জেলায় একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে সেই আন্দোলনকে থামিয়ে দিয়েছেন মমতা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের আন্দোলনও স্তিমিত হয়েছে। যার মূল কান্ডারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের চাহিদা পূরণ করে সেই আন্দোলনকে স্তিমিত করেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী এজন্য রাজবংশী উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেন। কোচবিহারের যুব সমাজকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন। যা রাজ্য পুলিশের অধীনে পরিচালিত হয়। রাজবংশী কবি পঞ্চানন বর্মাকে ঘিরে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কোচবিহার জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই অবদানের জন্য আজ নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। আজ সোমবার কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে আজ একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে এই সম্মান দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
প্রসঙ্গত এদিন সার্কিট হাউস থেকে পায়ে হেঁটে জনসংযোগ সারেন মুখ্যমন্ত্রী। এভাবে পৌঁছে যান রাসমেলা ময়দানের সভাস্থলে। সেখানে ২১০টি রাজবংশী ভাষার স্কুল উদ্বোধন করেন। এই স্কুলগুলি আগে বেসরকারি উদ্যোগে চলত। সেগুলির সরকারি স্বীকৃতি দিলেন মমতা। এখানকার ছাত্রছাত্রীরা সরকারি স্কুলের সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন। এখানকার শিক্ষকরাও সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের মতো বেতন পাবেন। কোচবিহারে এইসব প্রকল্পের সূচনার পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে শিলিগুড়ি পৌঁছে যান মমতা। সেখানে দুপুর আড়াইটে নাগাদ পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সেখানে ১০ হাজার পাট্টা, চা সুন্দরী প্রকল্পের সুবিধা সহ অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।