• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

গৃহবধূর বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার, ধর্ষণ করে খুনের অভিযােগ প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে

বৃহস্পতিবার সদ্য বিয়ে হওয়া এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ থানার হাজমপাড়া গ্রামে।

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

বৃহস্পতিবার সদ্য বিয়ে হওয়া এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ থানার হাজমপাড়া গ্রামে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাগানের মধ্যে সনজিরা বিবি (২২) নামে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ পড়ে ছিল। অভিযােগ গৃহবধুর প্রাক্তন প্রেমিক তাকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ধর্ষণের পর খুন করেছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর কেস রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপাের্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব নয় বলে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রায় ছয় মাস আগে গ্রামের মানুষ চাঁদা তুলে সনজিরার বিয়ে দেন সেখপাড়ার কাজীপাড়া গ্রামে। স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে। লকডাউনের পরে কেরলে গিয়েছে কাজে। গত দশদিন ধরে মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে রয়েছে। বিয়ের আগে মেয়েটির সঙ্গে পাশের গ্রাম লালনগরের যুবক আবুল হাসান সেখের ভালােবাসার সম্পর্ক ছিল। বিয়ে হওয়ার পরেও প্রাক্তন প্রেমিক মেয়েটিকে ফোন করে নানাভাবে বিরক্ত করত। এমনকি তার সঙ্গে যােগাযােগ না রাখলে খুনের হুমকি পর্যন্ত দিত। মৃতের পরিবারের সন্দেহ তার প্রাক্তন প্রেমিকই তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করেছে। তার ফাঁসির দাবি করেছে পরিবারের সদস্যরা। 

হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে মৃতার বােন বলেন, দিদি আমার সঙ্গেই ঘুমিয়েছিল। মাঝরাতে শৌচাগারে যায়। ফিরে এসে ঘুমিয়ে পড়ে। আমিও ঘুমিয়ে যাই। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখি দিদি বিছানায় নেই। অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে বাড়ির কাছেই একটা বাগানের মধ্যে দিদির চাদর দেখতে পাই। তারপরে দেহ। বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিল। আমাদের অনুমান ভােরে দিদিকে ফোন করে ডেকে এনে ধর্ষণ করে খুন করেছে তার প্রাক্তন প্রেমিক। দিদির বিয়ের পরও ওই যুবক বিভিন্নভাবে হুমকি দিত। তার শাস্তি চাই। 

মৃতার বাবা নেই। মা কাঁদতে কাঁদতে জানান, অনেক কষ্টে চাঁদা তুলে ছয় মাস আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। জামাই খুব ভালাে। কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছে। মেয়ের সর্বনাশ করেছে হাসান সেখ, বিয়ের আগে ওর সঙ্গে মেয়ের ভালােবাসার সম্পর্ক ছিল। তবে বর্তমানে কোনও যােগাযােগ ছিল না। কিন্তু ছেলেটি মাঝে মাঝেই ফোন করত। ভয় দেখাত ওর সঙ্গে মেলামেশা না করলে খুন করার হুমকিও দিত। আমাদের বিশ্বাস ওই ছেলেটির ডাকেই বাধ্য হয়ে ভােররাতে মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল। তারপর ওকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ওর পায়ের চটি এক জায়গায় পড়ে রয়েছে অন্য জায়গায় পড়ে রয়েছে দেহ। হাত ও পা বাঁধা ছিল। দেহে অত্যাচারের চিহ্ন। এ থেকেই প্রমাণিত ওকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে।