করোনা বনাম মানুষের লড়াইয়ে সাধারণের জীবন বাঁচাতে শহিদ হয়েছেন কলকাতা পুলিশের ৫ কর্মী এবং কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের ৫ কর্মী-আধিকারিক। আর এই ১০ জন শহিদের সন্তানদের আজীবন পড়াশোনার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল নাকতলা উদয়ন সংঘ।
এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত জানান, যে ১০ জন শহিদ হয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, কনস্টেবল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদাধিকারীরা এবং কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পদে কর্মরত ৫ জন কর্মী আধিকারিক। তাঁরা সাধারণ মানুষের জন্য শহিদ হয়েছে। তাই তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে নাকতলা উদয়ন সংঘ এই উদ্যোগ নিয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রীর দেখানাে পথে হেঁটেই এই শহিদের পরিবারের সন্তানদের কাছে যাতে শিক্ষার আলো পৌঁছে যায় সেজন্যই এই উদ্যোগ নেওয়ার পথে হেঁটেছে এই ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা জানা গিয়েছে এমনটাই।
শুধু তাই নয় আম্ফানের সময় সুন্দরবনের ৩০০ টি পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছিল নাকতলা উদয়ন সংঘ। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছে এই ক্লাব। সেই সঙ্গে এক লক্ষ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।