পাগড়ি বিতর্কে নবান্নের ট্যুইট, একটি রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িক রং চড়াচ্ছে

পাগড়ি, পুলিশ, নবান্ন, জগদীপ ধনকড়, অমরিন্দর সিং, হরভজন সিংপাগড়ি, পুলিশ, নবান্ন, জগদীপ ধনকড়, অমরিন্দর সিং, হরভজন সিং

বলবিন্দর সিং-কে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। (Photo: Twitter/@bikash63)

‘পাগড়ি’ বিতর্ক থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং তা ক্রমশ পল্লবিত হয়ে রাজনৈতিক রঙের আকার ধারণ করছে। রবিবার দুপুরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে পাগড়ি বিতর্ককে সামনে রেখে তিন-তিনটি টুইট করা হয়েছে। এই টুইটে অভিযােগ করা হয়েছে, ‘সাম্প্রদায়িক রং চড়াচ্ছে একটি রাজনৈতিক দল। সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশে এই কাজ করা হচ্ছে। পুলিশ কিন্তু আইন মেনেই কাজ করেছে।’

বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি’র যুব মাের্চা। এই অভিযানে হাওড়া ময়দান এলাকায় বলবিন্দর সিং নামে এক শিখ যুবককে পুলিশ আটক করে। ওই যুবককে আটক করার সময় তার পাগড়ি খুলে যায়। বলবিন্দর-এর পাগড়ি খােলার এই ছবি সােশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। 

প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিং থেকে শুরু করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, শিরােমনি অকালি দলের নেতা সুখবিন্দর সিং বাদল অভিযােগ করেন, এই ঘটনা শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। শিখদের এক প্রতিনিধিদল দিল্লি থেকে উল্লেখ্য, কলকাতায় এসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখাও করেন। 


এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে যাতে বিতর্ক মাথাচাড়া না দেয় শুক্রবার রাতেই পুলিশ একটি ভিডিও পােস্ট করে জানায়, ‘কোনওভাবে বলবিন্দর সিংয়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেনি পুলিশ। ওই ব্যক্তির পাগড়ি পুলিশ খুলেও দেয়নি। যা হয়েছে তা ধস্তাধস্তির কারণে।’ 

পুলিশ একথা বললেও দিল্লির গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি ঘটনার তদন্ত চেয়ে নবান্নকে চিঠি দিয়েছে। রবিবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর পুলিশের পাশে দাঁড়ায়। টুইটে বলা হয়, ‘বেআইনিভাবে অস্ত্র নিয়ে ঘােরা এক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে অপব্যাখ্যা করে সাম্প্রদায়িক রং লাগিয়ে ফায়দা তােলার চেষ্টা হচ্ছে। যা ঠিক নয়। রাজ্যের শিখ ভাইবােনেরা শান্তিতে সম্প্রীতির আবহে এখানে রয়েছেন। সব ধর্মীয় বিশ্বাসকেই আমরা সম্মান করি। শিখ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মানের নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। তবে, বেআইনিভাবে অস্ত্র নিয়ে ঘােরা একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’