২০ শতাংশ বোনাসের দাবি জানিয়ে সোমবার সকাল থেকে পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ পালন চা শ্রমিকদের আটটি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের। এই বনধের সমর্থনে চা শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছেন। তবে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত দার্জিলিং শহরে বনধের খুব একটা প্রভাব দেখা যায়নি। চা শ্রমিকদের বোনাস সমস্যা সমাধান করতে বদ্ধপরিকর নবান্ন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চা শ্রমিক ও মালিক পক্ষদের বসিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগ নিক শ্রম দপ্তর। এই মর্মে শ্রম দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। চা শ্রমিকদের বোনাস সমস্যা মেটাতে শ্রম দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জটিলতা কাটাতে তৎপর নবান্ন।
দার্জিলিঙ শহরে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলাই রেখেছেন। বনধ সমর্থকরা জোর করে দোকান বন্ধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় এবং তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। কার্শিয়াং শহরে বনধ সমর্থকরা পর্যটকদের গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কালিম্পং জেলার পরিস্থিতিও কিছুটা একই রকম; সেখানেও বনধের বিশেষ কোনও প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।
সমতলের রোহিনী টোল গেটের সামনে চা শ্রমিকরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বোনাসের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। পথ অবরোধের ফলে বেশ কিছু গাড়ি রাস্তায় আটকে পড়ে। কার্শিয়াঙে বনধ সমর্থকরা সকালেই পথ অবরোধের চেষ্টা করেন এবং চলমান গাড়িগুলি থামিয়ে চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামতেও বাধ্য করা হয়। পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরাতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
বাগডোগরায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘বোনাস সংক্রান্ত চা শ্রমিকদের সমস্যা তো লেবার কমিশন দেখছে। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে চা শ্রমিকদের বোনাস সমস্যার সমাধান হবে। বোনাসের বিষয়ে লেবার কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। চা শ্রমিকদের বোনাস সমস্যায় আমাদের হস্তক্ষেপ করার কিছু নেই।’
চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জি জানান, ‘বাংলায় বনধ হয় না। পাহাড়ে কোনও ধর্মঘট হচ্ছে না। ধমর্ঘট আমরা সমর্থন করি না। পাহাড়ে বনধের নামে রাজনৈতিক ভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’