• facebook
  • twitter
Wednesday, 18 December, 2024

পুর এলাকার মন বুঝতে ২০২৫ সালে বঙ্গে পুরভোট

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পুরসভা ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে, রাজ্যের বহু পুরসভায় পিছিয়ে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

লোকসভা ভোটে শহরাঞ্চলের মানুষ ঢেলে ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। লোকসভা ভোটের পুরসভা ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে, রাজ্যের বহু পুরসভায় পিছিয়ে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। স্বভাবতই এই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ জোড়াফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের কপালে। এই পরিস্থিতিতে ২০২৬-এর মেগা লড়াইয়ে যাওয়ার আগে শহরাঞ্চলের মানুষের মন বুঝতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই, ২০২৫ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির ভোট হতে পারে বলে খবর।

সূত্রের খবর, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের পুর ভোট করানোর চিন্তাভাবনা করছে নবান্ন। শুরু হয়েছে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা। এলাকাবাসীর কাছে নাগরিক পরিষেবা যাতে আরও ভালভাবে পৌঁছে দেওয়া, সেই লক্ষ্যেই বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য। শাসকদল তৃণমূলের একটি বড় অংশ অবশ্য চাইছে, দ্রুত এই পুর নির্বাচন হোক। এই বিষয়ে আলাপ-আলোচনাও শুরু হয়েছে দলের অন্দরেও।

তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের সাফল্যের রেশ থাকতে থাকতে পুরভোট হলে ফল ভালো হবে। এর ফলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা সম্ভব হবে। এলাকাবাসীর কাছে নাগরিক পরিষেবা যেমন আরও ভালো ভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে, ঠিক তেমনই বিরোধীদের মুখও বন্ধ হবে। ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট হতে সেক্ষেত্রে প্রায় এক বছর বাকি থাকতে। এই সময়ে পুর পরিষেবা দিয়ে সহজেই ভোট পকেটে পুরতে পারা যাবে।

আর তাই বকেয়া পুরভোট করাতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগের বছরেই কোমর বেঁধে ঝাঁপাতে চলেছে তৃণমূল। তবে কবে হবে পুর ভোট, তা এখন সরকারিভাবে জানা যায়নি। উল্লেখ্য ধূপগুড়ি, দুর্গাপুর, হলদিয়া, নলহাটি, রায়গঞ্জ, বুনিয়াদপুর, কুপার্স ক্যাম্প সহ একাধিক পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু পুরসভা যেমন শাসক দল তৃণমূলের দখলে রয়েছে, ঠিক তেমনিই হলদিয়া, নলহাটি এবং বুনিয়াদপুরের বেশ কিছু ওয়ার্ড রয়েছে বিজেপির হাতে।

লোকসভা ভোটের নিরিখে কোন পুরসভার কী চিত্র? ধূপগুড়ি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ড পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দুর্গাপুর কর্পোরেশনের ৪২ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি, ১০টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। হলদিয়া পুরসভার ২৯ ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৬টি এগিয়ে তৃণমূল, বাকিগুলিতে বিজেপি। রায়গঞ্জ পুরসভার ২৭ ওয়ার্ডের সবকটিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এরপরে অবশ্য উপনির্বাচনে এগিয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ফলাফল পুরসভাওয়াড়ি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি এবং তৃণমূলের ব্যবধান চোখে পড়ার মতো। বাংলার ১২১টি পুরসভার মধ্যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৬৯টি পুরসভা এলাকায়। ধুলিয়ান এবং বহরমপুর পুরসভায় এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। বাকি ৫১টিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। আর কলকাতার পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৫টি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। দু’টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে সিপিএম।