গান শেখানোর অছিলায় নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন! মুম্বই পালিয়েও শেষরক্ষা হল না। দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার সঙ্গীতশিল্পী সঞ্জয় চক্রবর্তী। মুম্বই থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ভাই সঞ্জয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আদতে সঞ্জয় চক্রবর্তী কলকায়তার বাসিন্দা। চারু মার্কেট এলাকায় একটি গানের স্কুল রয়েছে তাঁর। ওই নাবালিকা তাঁর কাছে গান শিখতেন। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গান শেখানোর নাম করে স্কুলের মধ্যেই তাদের মেয়েকে যৌন হেনস্থা করেন সঞ্জয় চক্রবর্তী।
চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই কিশোরীর পরিবার। অভিযোগ দায়েরের খবর মিলতেই গা-ঢাকা দেন সঞ্জয়। কলকাতা ছেড়ে পাড়ি দেন মুম্বইয়ে। সেখানেই তাঁর পরিচিতের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন অভিযুক্ত সঙ্গীতশিল্পী। মুম্বই থেকে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সঞ্জয়।
আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানালেও তা মঞ্জুর হয়নি। পুলিশ একাধিকবার তাঁকে ডেকে পাঠালেও সঞ্জয় কলকাতায় আসেননি। এরপর চারু মার্কেট থানার একটি টিম মুম্বইয়ে হানা দেয়। সেখান থেকে সঙ্গীতশিল্পী সঞ্জয় চক্রবর্তী গ্রেপ্তার করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সঙ্গীতশিল্পীকে জেরা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কিশোরীর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলছেন তাঁরা। গানের স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার কলকাতায় নিয়ে এসে আদালতে তোলা হয় সঞ্জয়কে। বিচারক আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয়কে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
ভাইয়ের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, আমার সঙ্গে ১০ বছর আমার ভাইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। আমি মায়ের কাছে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে আরেল ভাই ফোন করে বিষয়টি জানাল। আমিও শুনে বিস্মিত হয়েছি। এ ব্য়াপারে আমি কিছুই জানি না। বলতে পারব না।