তৃণমূলের কর্মসমিতি বৈঠকে বেশ কিছু রদবদলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বৈঠকে প্রবীণ নেতাদের গুরুত্ব বাড়িয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই রদবদল নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ফের একবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ব্যাটন ধরলেন তিনি। এদিন ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ মমতার ‘ঘনিষ্ঠ’দের আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর দাবি, মমতার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কতজন তাঁর ভালো চান তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপমুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রী করার দাবি তুলেছিলেন হুমায়ুন কবীর। এই নিয়ে দলের অন্দরে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছে। তাঁকে কটাক্ষ করেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তখনকার মতো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সোমবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর ফের বিস্ফোরক হুমায়ুন। বৈঠকে জাতীয় স্তরে দলের হয়ে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলের নেতা, বিধায়ক, সাংসদদের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যে ৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটিগুলিতে অভিষেককে রাখা হয়নি। এই সব নিয়েই সরব হন হুমায়ুন। তাঁর দাবি, দলে অভিষেককে কোণঠাসা করা হচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন হুমায়ুন বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সাংসদ। তিনি স্বাভাবিকভাবেই দিল্লির দায়িত্বে থাকবেন। যেদিন সর্বভারতীয় সম্পাদক হন, সেদিনই দলের দু”নম্বর হয়ে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকেরও নেত্রী, সকলের নেত্রী তিনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে কয়েকজন ঘিরে রয়েছেন, যে ক”জন নিজেদের পরিকল্পনার মধ্যে রেখেছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কতটা ভালো চান, পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘমেয়াদি শাসক হিসেবে দেখতে চান, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, যাঁরা দলটাকে গুলিয়ে দিতে চাইছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের জায়গা ঠিক রাখতে চাইছেন, কানে মন্ত্রণা দিচ্ছেন, ২০২৬ সালে তাঁরা জবাব পাবেন। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতা মানি। তৃণমূল যদি আগামীতে আমাকে টিকিট না দেয়, বেঁচে থাকলে অপকর্মের জবাব দেব।’
তিনি আরও বলেন, ”অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি কোনও যোগ্যতা নেই? কেন কেউ অভিষেককে কোণঠাসা করবে? কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে, আর সেটা কি আমরা মেনে নেব?”