• facebook
  • twitter
Saturday, 18 January, 2025

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসবযন্ত্রণা অনুভব করায় গত বুধবার সকালে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হাসিনাকে।

মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। নিম্নমানের স্যালাইন থেকে জটিলতার সূত্রপাত বলে অভিযোগ প্রসূতির পরিবারের। এবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ছড়াল মুর্শিদাবাদে। মৃতার নাম হাসিনা খাতুন (২৬)। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই প্রসূতির। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসবযন্ত্রণা অনুভব করায় গত বুধবার সকালে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হাসিনাকে। সিজারের মাধ্যমে ওই দিনই সন্তান প্রসব করেন তিনি। সকাল ৮টা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি হন হাসিনা। দুপুরে ২টো নাগাদ এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। হাসপাতালের তরফে প্রসূতির পরিবারকে জানানো হয়, মা ও বাচ্চা দু’জনেই সুস্থ এবং ভালো আছে। কিন্তু ঠিক কখন শারীরিক অবস্থায় অবনতি হয় মহিলার, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবারের সদস্যরা। প্রসূতির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁকে দেখার জন্য বেশ কয়েক বার অনুরোধ করলেও, সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।

শুক্রবার ভোরে ওই মহিলাকে জঙ্গিপুর হাসপাতাল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। রোগীর পরিবারের দাবি, প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতির বিষয়ে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। এদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক মহিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। মহিলার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে। স্বজনহারা পরিবার জঙ্গিপুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। জঙ্গিপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ তাঁরা পাননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সপ্তাহখানেক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। আর চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়। অভিযোগ, নিম্নমানের স্যালাইন থেকে বিপত্তি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার-সহ ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।