‘মৃত্যুপুরী’ রাজ্যের সমুদ্র সৈকত, ১৫ দিনে মৃত ৬ জন

নিজস্ব প্রতিনিধি: এবছর বর্ষার মরশুমে রাজ্যের সমুদ্র সৈকত গুলি কার্যত ‘মৃত্যুপুরীর’ রূপ নিয়েছে৷ বর্ষাকালের সমুদ্র মানেই উত্তাল ও টালমাটাল ঢেউ৷ তারওপর নিম্নচাপ ও ভরাকোটালের ফলে সমুদ্র আরও বেশি অশান্ত থাকে৷ এই অবস্থায় দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি মিলিয়ে গত ১৫ দিনে মোট ৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে৷ গত তিন মাসের কথা ধরলে সংখ্যাটা হয়ে যাবে ১০৷ সমুদ্রে এসে পর্যটকদের বেপরোয়া মনোভাব এই মৃত্যুর ঘটনার অন্যতম কারন বলে মনে করছে প্রশাসন৷

রবিবার দিঘায় সমুদ্রস্নানে নেমে তলিয়ে মৃত্যু হয় ব্যারাকপুরের টিটাগড়ের বাসিন্দা দীপঙ্কর নন্দীর (৩০)৷ গত ২২ জুলাই শঙ্করপুরে পাথরের উপর দাঁড়িয়ে জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা প্রিয়ন্তি পাটোয়ারি (১৭) ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যান৷ পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়৷ সপ্তাহ দুয়েক আগে মন্দারমণিতে সমুদ্রস্নানে নেমে ঢেউয়ের তোডে় ভেসে যান দুর্গাপুর থেকে আসা তিন পর্যটক, ঋত্বিক গড়াই (২৩), কৌশিক মণ্ডল (৩০) ও সমর চক্রবর্তী (৩৮)৷ হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা অনুপম বর্মন (২৫) তাঁর আগের দিনই মন্দারমণির সমুদ্রে তলিয়ে যান৷

এভাবে সমুদ্রে গিয়ে একের পর এক পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন৷ পর্যটকদের খামখেয়ালিপনার জন্যই এসব ঘটনা ঘটছে বলেই দাবি পুলিশের৷ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সমুদ্রে নামছেন অনেক পর্যটকরা৷ পুলিশের প্রচার, নুলিয়াদের বাধা কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে৷ সচেতন করতে লাগানো হয়েছে বোর্ড৷ মাইকে চলছে প্রচার৷ নজরদারি চলছে মন্দারমণিতেও৷ কিন্ত্ত পর্যটকরা নিজে থেকে সচেতন না হলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়৷