টিম পিকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়!

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (ছবি: Twitter|@KalyanBanerjeeAITC)

সদ্যই হুগলি জেলা তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। হুগলি জেলাকে দু’টি সাংগঠনিক কমিটিতে ভাঙা হয়েছে। টিম পিকে’র রিপাের্টের ভিত্তিতে রদবদল বলেই অনুমান। তারপরই নাম করে টিম পিকে’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

ধনেখালিতে এক দলীয় সভায় তিনি বলেন, বিহার থেকে একজন এসে দিল্লি রােডের ধারে হােটেলে বসে শ্রীরামপুর লােকসভা নিয়ে দলের রিপাের্ট কার্ড তৈরি করছেন। সেই রিপাের্টের ভিত্তিতে উপর থেকে সব ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। ৩০-৩৫ বছর ধরে যারা রাজনীতির ময়দানে লড়াই করেছেন আজকে একটা কলমের খোঁচায় তাঁর রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে।

এরকমভাবে দলের কর্মীদের আঘাত দেবেন না। দলে যােগ্য লােকেদের মর্যাদা দিতে হবে। হুগলি জেলা তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদলের পর সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাংসদের মন্তব্য করে হাতিয়ার করে ঘােলাজলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন বিরােধীরা। অসন্তোষের হাওয়ায় কি ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে ফের ঝড় বইতে চলেছে সে প্রশ্নও উঠছে।


যদিও সমস্ত জল্পনাকে মিথ্যে প্রমাণ করে সাংসদ জানান, দিদির জন্য রাজনীতিতে এসেছি। ময়দানে লড়াই করেছি। দিদি যতদিন রাজনীতিতে থাকবেন ততদিনই রাজনীতি করব। তারপর আর নয়। ২০১৮-য় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরােধীরা প্রার্থী না দিতে পারার ফল ২০১৯ সালে লােকসভা ভােটে তৃণমূল পেয়েছে বলেও স্বীকার করে নেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরােধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি বলে লােকসভা নির্বাচনে তার ফল ভােগ করতে হয়েছিল। কিন্তু সেই মানুষগুলােই যাঁরা ভােট দিয়েছিলেন তারা বিধানসভা নির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভােট দিয়েছিলেন। তাই আগামী নির্বাচনগুলিতে যাতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশও দেন তিনি।