• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

‘বিশ্বাসঘাতকদের তাড়াব’  হুঁশিয়ারি সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর

নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৪ জুন:  লোকসভা নির্বাচনে  বাঁকুড়ায় জয় পাওয়ার পরে দলের একাংশের কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী।  ” তাঁর অভিযোগ, দলে কিছু বিশ্বাসঘাতক আছেন, যাঁরা তৃণমূলের খেয়ে বড় হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য স্তরের নেতাদের কাছে নালিশ করবেন তিনি। লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ায় বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারকে ৩২৭৭৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী।

নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৪ জুন:  লোকসভা নির্বাচনে  বাঁকুড়ায় জয় পাওয়ার পরে দলের একাংশের কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী।  ” তাঁর অভিযোগ, দলে কিছু বিশ্বাসঘাতক আছেন, যাঁরা তৃণমূলের খেয়ে বড় হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য স্তরের নেতাদের কাছে নালিশ করবেন তিনি। লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ায় বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারকে ৩২৭৭৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে অরূপবাবু দলে রয়েছেন। বাঁকুড়ার সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর বড় ভূমিকা রয়েছে। দাপুটে নেতা হিসাবে তিনি সবই চেনেন। এখন তিনি দলের জেলা সভাপতি পদে রয়েছেন। ভোট প্রচারের আগে বাঁকুড়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তাঁকে অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই সময়ে কর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, “ঐক্যবদ্ধভাবে দল করতে হবে। যাঁরা তা পারবেন না, তাঁরা দয়া করে দল ছেড়ে চলে যান। দলের এই মুমূর্ষু অবস্থায় আমি দলে বিভাজন হতে দেব না। প্রয়োজনে পায়ে ধরে নেব।”

এরপর  জয়ের পরে একেবারে কড়া ভাষায় দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অরূপবাবু। বলেন, “কিছু বিশ্বাসঘাতক আছে, যাঁরা তৃণমূলের খেয়ে বড় হয়েছে, সেই বেইমানদের বিরুদ্ধে রাজ্যকে অভিযোগ জানাব। দুষ্টু গোরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল অনেক ভালো। তাই আমি তাদের দলে রাখতে চাই না। ওই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।” লোকসভা ভোটে জয়ের পরে বৃহস্পতিবার সিমলাপালে ‘জনসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময়’ কর্মসূচী ছিল অরূপবাবুর। সেখানেই কর্মীদের উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করেন তিনি। পরে সাংবাদিকরা তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করলে  তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্যের অনুমোদন পাওয়ার পরেই তাড়াব।” এমনকি ওই বিশ্বাসঘাতকদের তালিকায় এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও রয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিজেপি নেতা বিপদতারণ সেন বলেন, “উনি নিজেই স্বীকার করছেন তাঁর দলের লোকেরা তাঁর হয়েই কাজ করেন না। তাহলে কিভাবে লোকসভায় নির্বাচনে উনি জিতলেন। তাহলে কি উনি চুরি করে জিতেছেন? যে যেমন মানুষ, তার মুখ থেকে সেই ধরণের ভাষা বেরবে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা।”