• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান মোহন্ত জ্ঞানদাস, গঙ্গাসাগর মেলা কি দুয়োরানি? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মমতার 

মমতার ঘোষণায়,তাকে আশীর্বাদ করেন কপিলমুনি আশ্রমের মোহস্ত জ্ঞানদাস বলেন,লঙ্কা বিজয়ের আগে রামচন্দ্র মা দুর্গার পুজো করেছিলেন।মমতা নিজেই দুর্গা।নিজেই লক্ষ্মী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বারবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেয়নি কেন্দ্র। সম্প্রতি দিল্লি গিয়েও গঙ্গাসাগরের তীর্থযাত্রীদের জন্য মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজ তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি এই ব্রিজ তৈরির বিনিময়ে তাজপুর বন্দরের অংশীদারিত্ব ৭২ শতাংশ কেন্দ্রকে ছেড়ে দিতে চেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তা সত্ত্বেও না হয়েছে ব্রিজ, না হয়েছে তাজপুর বন্দর।

তাই মুড়িগঙ্গার ওপর ব্রিজ তৈরির কাজ নিজেরাই করে নেবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে গঙ্গাসাগরে কপিল মুনি আশ্রমে পুজো দিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোেভ প্রকাশের পরে এই ঘোষণাই করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গঙ্গাসাগর মেলাকে রাষ্ট্রীয় মেলা’র স্বীকৃতি না মেলায় ক্ষোভ রয়েছে কপিল মুনি আশ্রমের বর্তমান মোহন্ত জ্ঞানদাসের। এদিন তিনি কপিল মুনি আশ্রমের মধ্যেই মমতাকে পাশে নিয়ে জানান ২০২৪ সালে ‘বড়িদিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।

মোহস্ত জ্ঞানদাসের কথায়, যতদিন না মমতা দিল্লিতে ক্ষমতায় বসছেন, ততদিন সাগরমেলা রাষ্ট্রীয় মেলা হবে না। দিদির মতো নেতা যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তবেই দেশের কল্যাণ হবে।

মোহন্ত বলেন আমি সাধু, কপিল মুনির কাছে আমার একটাই প্রার্থনা, দিদি’কে তিনি যেন এগিয়ে নিয়ে যান। মোহন্ত জ্ঞানদাস এদিন আরও জানান, বহুদিন ধরেই তিনি দাবি করছেন, সুন্দরবনের স্থানীয় কাউকে মন্ত্রী করা হোক। বাম আমল থেকেই এই দাবিতে কেউ কর্ণপাত করেনি।

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা রেখেছেন। এ বছর স্থানীয় বিধায়ক বঙ্কিম হাজরাকে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী করা হয়েছে। অনেকেই চেয়েছিল, মমতা মুখ্যমন্ত্রী যেন না হতে পারেন। কিন্তু জনতার রায়ে মমতা আবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

মোহস্ত জ্ঞানদাস বলেন, মমতা গঙ্গাসাগরে যে উন্নয়ন করেছো, কুম্ভমেলাতেও ততটা হয়নি। নাম না করে এভাবেই বিজেপির চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে এগিয়ে রাখলেন কপিল মুনি আশ্রমের মোহন্ত জ্ঞানদাস।

মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সফরে এসে মঙ্গলবার প্রথমেই কপিলমুনি আশ্রমে পুজো দেন। তাকে অভ্যর্থনা জানান কপিলমুনি আশ্রমের মোহন্ত জ্ঞানদাস। দু’জনেই দু’জনকে উত্তরীয় পরিয়ে অভ্যর্থনা জানান। মুখ্যমন্ত্রী এদিন গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় মেলার স্বীকৃতি না পাওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, এরকম মেলা বিশ্বে একটাই।

কুম্ভমেলায় রেলপথে, সড়কপথে যাওয়া যায়। কিন্তু প্রতি বছর সাগরমেলায় ২০ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষ জল পেরিয়ে আসে। কেন্দ্রীয় সরকার কুম্ভের জন্য কিন্তু গঙ্গাসাগরের জন্য এক টাকাও দেয় না। মমতা প্রশ্ন তোলেন, কুম্ভ মেলা যদি সুয়োরানি হয়, গঙ্গাসাগর মেলা কি দুয়োরানি?

এদিন সাংবাদিকরা মমতাকে প্রশ্ন করেন, ইউনেস্কো যেমন দুর্গাপুজোকে ‘হেরিটেজ’- এর মর্যাদা দিয়েছে গঙ্গাসাগরের জন্যও কি তেমন কোনও আবেদন করা হবে? জবাবে মমতা বলেন, এখনই এসরে উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। আর ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে অনেক লড়াই করার পরে।

মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলা প্রসঙ্গে জানান, ইয়াস পরবর্তী সময়ে গঙ্গাসাগরকে মেলার জন্য প্রস্তুত করতে খুব তাড়াতাড়ি সংস্কারের কাজ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গঙ্গাসাগরে তীর্থযাত্রীদের আসার সুবিধের জন্য লট নম্বর এইট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত মুড়িগঙ্গার ওপর ব্রিজ তৈরির জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিলাম।

কিন্তু কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এই ব্রিজ তৈরি করতে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। আমাদের হাতে টাকা পয়সা এলে এই ব্রিজ তৈরির কাজ আমরা নিজেরাই করে নেব।

মমতার এই ঘোষণায়, তাকে আশীর্বাদ করে কপিলমুনি আশ্রমের মোহস্ত জ্ঞানদাস বলেন, লঙ্কা বিজয়ের আগে রামচন্দ্র মা দুর্গার পুজো করেছিলেন। মমতা নিজেই দুর্গা। নিজেই লক্ষ্মীক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে, কিন্তু গঙ্গাসাগরের জন্য এক টাকাও দেয় না।

মমতা প্রশ্ন তোলেন, কুম্ভ মেলা যদি সুয়োরানি হয়, গঙ্গাসাগর মেলা কি দুয়োরানি? এদিন সাংবাদিকরা মমতাকে প্রশ্ন করেন, ইউনেস্কো যেমন দুর্গাপুজোকে ‘হেরিটেজ’- এর মর্যাদা দিয়েছে গঙ্গাসাগরের জন্যও কি তেমন কোনও আবেদন করা হবে?

জবাবে মমতা বলেন, এখনই এসরে উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। আর ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে অনেক লড়াই করার পরে। মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলা প্রসঙ্গে জানান, ইয়াস পরবর্তী সময়ে গঙ্গাসাগরকে মেলার জন্য প্রস্তুত করতে খুব তাড়াতাড়ি সংস্কারের কাজ করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গঙ্গাসাগরে তীর্থযাত্রীদের আসার সুবিধের জন্য লট নম্বর এইট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত মুড়িগঙ্গার ওপর ব্রিজ তৈরির জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিলাম।

কিন্তু কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এই ব্রিজ তৈরি করতে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। আমাদের হাতে টাকা পয়সা এলে এই ব্রিজ তৈরির কাজ আমরা নিজেরাই করে নেব।

মমতার এই ঘোষণায়, তাকে আশীর্বাদ করেন কপিলমুনি আশ্রমের মোহস্ত জ্ঞানদাস বলেন, লঙ্কা বিজয়ের আগে রামচন্দ্র মা দুর্গার পুজো করেছিলেন। মমতা নিজেই দুর্গা। নিজেই লক্ষ্মী।