আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মােদির সফর চূড়ান্ত হয়েছে। সরকারি কর্মসূচিতে কলকাতায় এলেও হুগলির সাহাগঞ্জে দলীয় সমাবেশ করেন মােদি । এর পরে ফের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি রাজ্যে আসতে পারেন বলে খবর। তবে এই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারছেন না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
তাঁরা চাইছেন, সফর সরকারি হলেও সে দিনও যেন মােদি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যােগ দেবেন। বিজেপি সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ মার্চ, রবিবার ব্রিগেডে সমাবেশ হবে মােদির। রাজ্য বিজেপি-র ৫ টি পরিবর্তন যাত্রা’র শেষে মার্চের প্রথম সপ্তাহে মােদির উপস্থিতিতে বিজেপি ব্রিগেড সমাবেশ করবে বলে আগেই জানা সেই সভাই হতে চলেছে ৭ মার্চ।
সংসদে অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৮ মার্চ। তার আগের দিনই রাজ্য আসতে পারেন মােদি। একটা সময় পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি মনে করেছিল বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ কমিশন ঘােষণা করার আগে রাজনৈতিক সমাবেশ করবেন না প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু হলদিয়ার জনসভা বুঝিয়ে দেয়, সেটা নয়। ভােটের নির্ঘণ্ট ঘােষণার জন্য ভােটের প্রচার আটকে রাখতে চান না মােদি।
এর পরে আগামী সােমবারের কর্মসূচির পরিকল্পনা হয়। এবার সেই মতােই ২৮ ফেব্রুয়ারির দিকে তাকিয়ে রাজ্য বিজেপি। এর মধ্যে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ না হলেও যাতে আরও একটি জনসভা মােদি করেন তার উদ্যোগ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
গেরুয়া শিবিরের রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ চাইছেন এবারের সমাবেশ হােক উত্তরবঙ্গে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে যে ৪ টি পরিবর্তন যাত্রা শুরু হয়েছে সেগুলি মার্চের প্রথম দু-এক দিনের মধ্যেই শেষ হবে। কলকাতা জোনের রথ সবে শুরু করেছে যাত্রা। বৃহস্পতিবার এর সূচনা করেছেন অমিত শাহ। সেটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা ঘুরে কলকাতায় ঢুকবে ফেব্রুয়ারির শেষ বা মার্চের একেবারে শুরুতে। আর সেই রথযাত্রার শেষটা ৭ মার্চ হবে ব্রিগেডে।
সেই দিন অন্য চারটি রথের প্রতিনিধিত্বমূলক উপস্থিতিও থাকবে মােদির সমাবেশে। রাজ্য বিজেপি নেতারা মনে করছেন, ব্রিগেড সমাবেশের আগেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে যাবে। আর ব্রিগেড থেকে মােদির হাত দিয়েই শুরু হবে নীলসাদা বাড়ি দখলের লড়াইয়ের চুড়ান্ত পর্বের প্রচার। ২০১৯-এর লােকসভা নির্বাচনের আগেও একটি ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।