রবিবারের ব্রিগেডে বড় চমক দিতে চলেছে বিজেপি। সব ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির বিগ্রেডে থাকতে চলেছেন অভিনেতা মিঠুন চত্রবর্তী। দলের শীর্ষনেতাদের দেওয়া প্রস্তাবে নাকি ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়ে দিয়েছেন ‘মহাগুরু’। বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সূত্রে নটাই খবর। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই আরএসএস প্রধান। মােহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন মিঠুন চক্রবর্তী।
একপ্রকার হঠাৎই বসন্ত পঞ্চমীর সকালে মুম্বইয়ের মাঢ অঞ্চলে মহাতারকার বাংলােয় হাজির হন আরএসএস প্রধান। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দু’জনের। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে মিঠুনের বিজেপি যােগ নিয়ে জল্পনা চলছে। অভিনেতা নিজে অবশ্য দাবি করেছেন, এই বৈঠক অরাজনৈতিক। ওঁর সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক আলােচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিঠুন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সদস্যও করা হয় তাঁকে। একটা সময় এরাজ্যের শাসকদলের হয়ে ভােটের প্রচারেও দেখা গিয়েছে মিঠুনকে। বছর পাঁচেক আগে একটি চিটফান্ড মামলায় নাম জড়ায় মিঠুনের।
একটি অর্থলগ্নি সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অভিযােগ ওঠার কিছুদিন পরই রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান মিঠুন। ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালের শেষদিকে রাজ্যসভার সাংসদ পদও ত্যাগ করেন অভিনেতা। তারপর থেকেই কার্যত রাজনীতির সঙ্গে কোনও যােগাযােগ নেই মিঠুনের।
কিন্তু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসতেই ফের রাজনীতির মঞ্চে তার আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এরইমধ্যে মােদির বিগ্রেডে তিনি , সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় হাজির থাকতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়।
তার মধ্যে বিজেপি সূত্রে মিঠুন চক্রবর্তীর নাম পাকাপাকি ঘােষণা হওয়াতে তার বিজেপিতে যােগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও সৌরভের ঘনিষ্ঠ সূত্র ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তিনি ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হচ্ছেন না। প্রসেনজিতের তরফে এখনও কিছু জানানাে হয়নি।
তবে বিজেপি সূত্রের দাবি, মিঠুন চক্রবর্তী রব্বিারের সমাবেশে হাজির থাকার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। যদিও, এখনই তিনি সরাসরি বিজেপিতে যােগ দেন কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। তবে, আগামী দিনে বাংলার নির্বাচনে মিঠুনকে অন্যভাবে কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির।