কাশীপুরে আধুনিক কোচিং ডিপো ও রেলের পরিকাঠামো উন্নয়ন

কলকাতা টার্মিনালের কাছে কাশীপুরে একটি আধুনিক কোচিং ডিপো নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ দেউস্কর। এই প্রকল্পে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ হবে এবং আধুনিক সব সুবিধা নিয়ে তৈরি হবে এই ডিপো, যা ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করবে। হাওড়ার ঝিল সাইডিংয়ের মতো পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি, কলকাতা ও শিয়ালদহ স্টেশনের ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাও উন্নত করা হচ্ছে। এই দুটি স্টেশনে সর্বাধিক ২৪ কোচের ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সম্প্রতি পিট লাইনের দৈর্ঘ্যও বাড়ানো হয়েছে।

পূর্ব রেলের সূত্র জানাচ্ছে, শুধু ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণই নয়, পুরনো সেতুগুলোর সংস্কারও চলছে যাতে ট্রেনের গতি বাড়ানো যায়। বর্তমানে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সিংহভাগ হাওড়া থেকে চলে, কিন্তু ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ব্যান্ডেল স্টেশনকে কলকাতার উপগ্রহ টার্মিনাল হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকার একটি পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে বলে জানান মিলিন্দ দেউস্কর।

হাওড়া স্টেশনে পুরনো বাঙালবাবু ব্রিজ ও বারাণসী ব্রিজের বদলে নতুন সেতু চালু হলে আটটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো সম্ভব হবে। এর ফলে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশাপাশি ১২ কোচের লোকাল ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে এবং জটিলতা কমবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে হাওড়া-নয়াদিল্লি পথের একাংশে কবচ প্রযুক্তির মহড়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার।


পূর্ব রেল চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পণ্য পরিবহণ খাতে ২৮ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে এবং লোকাল ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা উন্নত করতে ২০০টি ট্রেন বেছে নিয়ে পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় রেললাইনের ওপর উড়ালপুল নির্মাণে কিছু জটিলতা থাকলেও জমি সমস্যার সমাধান করে সেই প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, রেলপথের ধারে আবর্জনা ফেলার বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর কথাও বলেছেন মিলিন্দ দেউস্কর, যাতে অগ্নিকাণ্ড এবং অন্যান্য ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।