• facebook
  • twitter
Friday, 25 April, 2025

আরও কঠোর হতে পারত পুলিশ, মানছেন বিধায়ক হুমায়ুন কবির

'কোথা থেকে কে শক্তি জোগাচ্ছে? পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের, অন্য দলেরও যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ লোক, শুধু তাদের ডেকে পিস কমিটি করুক।

ফাইল চিত্র

ওয়াকফ অশান্তিতে অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ। সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান সহ উত্তপ্ত একাধিক এলাকা। প্রাণ গিয়েছে ৩ জনের। ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে বাড়িঘর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের নির্দেশে নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমন অবস্থায় মুর্শিদাবাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ভরতপুরের এই বিধায়কের কথায়, প্রথম দিন থেকেই পুলিশকে আরও কঠোর হতে হত। তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যেত অশান্তির নেপথ্যে কে বা কারা আছে। যদিও তিনি মেনে নিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।

ভরতপুরের বিতর্কিত বিধায়ক বলেন, ‘কারা লিডারশিপ দিয়ে দু’ঘণ্টা ধরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্লক করছে, সেটা যদি চিহ্নিত করতে পারত পুলিশ, তাহলে তার পরবর্তী ঘটনাটা আর ঘটত না।’ পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন ছোঁড়েন, কেন বিএসএফকে লাগবে? পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট।

এলাকায় শান্তি ফেরাতে কি করা উচিত তাও জানিয়েছেন শাসকদলের বিধায়ক। হুমায়ুন জানিয়েছেন, ‘কোথা থেকে কে শক্তি জোগাচ্ছে? পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের, অন্য দলেরও যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ লোক, শুধু তাদের ডেকে পিস কমিটি করুক। ১৬৩-র সঠিক প্রয়োগ করুক। সব ঠিক হয়ে যাবে।”

ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। শনিবার রাত থেকেই ধুলিয়ান, সুতির বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আধাসেনা। টহলদারি করছেন জওয়ানরা।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মুর্শিদাবাদ এখনও থমথমে। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ন কবিরকে শোকজ করেছিল দল। দলের বিরুদ্ধে কথা না বললেও মনোমালিন্য যে হয়েছিল, তা বুঝতে বাকি ছিল না কারোর। আবার রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছেন হুমায়ুন।