প্রথম রাত দখল কর্মসূচির দিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। হাসপাতালে মধ্যে
ঢুকে নির্বিচারে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এই ঘটনার পর থেকে রাজ্যের নানা প্রান্তে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত
হয়েছেন। আর এবার রাজ্যের অন্যতম নামকরা সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএমে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল। উইকেট, হকি স্টিক নিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হল।
হাসপাতালে ঢুকে গুন্ডামি করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত না হলেও রোগীর পরিজনদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রোগী, রোগীর পরিবার-পরিজন এবং চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ কয়েকজন যুবক আচমকাই বাইক নিয়ে ঢুকে পড়েন। ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন এক রোগীর আত্মীয়কে হকি স্টিক এবং উইকেট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর জখম এক রোগীর আত্মীয়। খবর পেয়ে এসএসকেএের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের সামনে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আচমকাই দু’গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বাইরের ঝামেলার জেরে এদিন এক গোষ্টী অপর গোষ্ঠীকে ‘শিক্ষা’ দিতে হাসপাতালে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন চিকিৎসকেরা। এক সপ্তাহেরও বেশি আমরণ অনশনে বসেছেন কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তার। তার মধ্যে এই ঘটনায় হাসপাতালের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।