নাবালিকা প্রেমিকাকে টাকার জন্য বন্ধুদের কাছে বিক্রি করে দিল প্রেমিক! শুধু তাই-ই নয়, বন্ধুদের সঙ্গে মিলে তাকে গণধর্ষণও করল সে! ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি এলাকা সাক্ষী থাকল এমনই এক অমানবিক ঘটনার।
নির্যাতিতা নাবালিকার অভিযোগ অনুযায়ী, মঙ্গলবার তার প্রেমিক লক্ষ্মণ টুডু তাকে সঙ্গে করে নিজের আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির বাড়ির লোক আগে থেকেই লক্ষ্মণকে চেনায় তার সঙ্গে যাওয়া নিয়ে অভিভাবকেদের কোনও আপত্তি ছিল না।
পরেরদিন, অর্থাৎ বুধবার ফেরার সময়ে গ্রামেরই অদূরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে তার প্রেমিকাকে নিয়ে যায় লক্ষ্মণ। ওই নাবালিকা জানায়, তার আপত্তি সত্ত্বেও তাকে ধর্ষণ করে লক্ষ্মণ। তারপরে লক্ষণের তিন বন্ধু সেখানে খাবার নিয়ে আসে। ওই খাবার খেতেই নাবালিকা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
আচ্ছন্ন অবস্থাতেই লক্ষ্মণ ও তার তিন বন্ধু মিলে তাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। খাবারে মাদক মেশানো থাকায় বৃহস্পতিবার বেলায় নাবালিকার ঘুম ভাঙে। ঘুম ভাঙার পরে ওই তিন বন্ধু নাবালিকাকে জানায়, টাকার বিনিময়ে নাবালিকাকে ‘ভোগ’ করার জন্য লক্ষ্মণ তাকে বন্ধুদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।
কোনওমতে সেখান থেকে পালায় ওই নাবালিকা। বাড়ি ফিরেই ঘটনার কথা সে জানায় তার মাকে। তৎক্ষণাৎ তার মা তাকে সঙ্গে নিয়ে জামবনি থানায় যান। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় লক্ষ্মণ সহ চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গণধর্ষণ, নাবালিকা পাচার ও পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতেই চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। লক্ষ্মণ ছাড়া বাকি তিন অভিযুক্ত হল কানাই রানা, রবিন রানা ও বিকাশ নামের এক সতেরো বছরের নাবালক। বিকাশকে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করা হয়। বিচারক তাকে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের একটি হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
লক্ষ্মণ সহ তিন অভিযুক্তকে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম পকসো আদালতে হাজির করা হয়। লক্ষ্মণকে সাতদিন পুলিশ হেপাজত দেওয়া হয়। বাকি দু’জনকে জেল হেপাজত দেন বিচারক। নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী নাবালিকাকে পাঠানো হয়েছে একটি হোমে।