লজে আটকে রেখে ধর্ষণ নাবালিকাকে, সাহায্য করত মূল অভিযুক্তের স্ত্রী-কন্যাই!

প্রতীকী চিত্র।

৩ দিন ধরে নাবালিকা এক কিশোরীকে লজে আটকে রেখে ক্রমাগত ধর্ষণ করেছেন যুবক! শুধু তাই নয়, ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালাতে ওই যুবককে সহায়তা করতেন ওই যুবকেরই স্ত্রী, কন্যা এবং অপর এক মহিলা! এমনটাই অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর নিবাসী ওই যুবক-সহ ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছর বয়সী ওই নাবালিকাকে গত ৩ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকজন এই মর্মে থানায় মিসিং ডায়রিও দায়ের করেন। কিন্তু তাও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ওই কিশোরীর। ইতিমধ্যে পরিবারের তরফে পুলিশে জানানো হয়, তাঁরা তাঁদের মেয়ের খোঁজ পেয়েছেন। তাঁদের মেয়ে বর্তমানে একটি লজে বন্দি। খবর পাওয়ামাত্র অভিযান চালিয়ে পুলিশ উক্ত লজ থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত যুবক এবং তাঁর স্ত্রী-কন্যা সহ ৫৫ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়াকে।

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, লজের ঘরে বন্দি করে রেখে অভিযুক্ত যুবক তাকে দিনের পর দিন লাগাতার ধর্ষণ করতেন। সেই সময় যুবকের স্ত্রী-কন্যা পাহারায় থাকতেন। যাতে ওই নাবালিকা পালিয়ে না যায়, সেইজন্য তাকে আটকে রাখতে সহায়তা করতেন ওই প্রৌঢ়া এবং ওই যুবকের পরিবার। এমনকী, নির্যাতিতাকে দেহব্যবসায়ও নামাতে চেয়েছিলেন তাঁরা, এমন অভিযোগও উঠে এসেছে।


গত শনিবার অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বহরমপুর আদালতের বিচারক। পুলিশি জেরায় প্রাথমিক অনুমান, ধৃতরা সম্ভবত কোনও পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। আর কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের এসপি সূর্যপ্রতাপ যাদব জানিয়েছেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই সক্রিয় হয় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চার জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’