ইসলামপুরের নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ। বিহারের পাহাড়াকাট্টা থানার নয়াবস্তি এলাকায় ভুট্টা খেত থেকে উদ্ধার নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত বিবস্ত্র দেহ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের কিষাণগঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তে নাবালিকার দেহের ২১ জায়গায় ছুড়ির আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মৃতের পরিবারের দাবি, ওই নাবালিকার প্রেমিকই তাকে ধর্ষণ করে খুন করেছে।
গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে জলসা দেখার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নাবালিকা। রাত হয়ে গেলেও সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের সদস্যরা খোঁজখবর শুরু করলেও নাবালিকার হদিশ পাননি। পরের দিন বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর করা হয় পরিবারের তরফে। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের দাবি, ইসলামপুর থানা ‘মিসিং ডাইরি’ জমা নেয়নি।
১ তারিখ বিহারের নয়াবস্তির জলসাকেন্দ্রের অদূরের ভুট্টা খেতে কাজ করতে গিয়ে একটি দেহ দেখতে পান এক কৃষক। সেই খবর এলাকায় চাউর হতেই ইসলামপুরের বাড়ি থেকে নিখোঁজ নাবালিকার মা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। মেয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ শনাক্ত করেন তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। নাবালিকার মায়ের বক্তব্য, বাড়ির পাশের একটি ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের সম্পর্ক ছিল। অশান্তি হয়েছিল। তারপর কাউন্সিলর নিজে এসে গোলমাল মিটিয়ে দিয়েছিল। তারপর কী হল, সব শেষ হয়ে গেল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাঝে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। স্থানীয় কাউন্সিলের দু’জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করেন। অশান্তি জেরেই এই হত্যাকাণ্ড কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।