বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়, হুগলি: কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি এবং হঠাৎ করে ডিভিসি জল ছেড়ে দেওয়ার ফলে আরামবাগ মহকুমার খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের কৃষি বিপণন ও পঞ্চায়েত দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না আরামবাগের সাংসদ মিতালী বাগ হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি যথাক্রমে রঞ্জন ধাড়া ও কৃষ্ণচন্দ্র সাাঁতরা তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য সহ জনপ্রতিনিধিগণ ও প্রশাসনিক আধিকারিক বৃন্দ। পরে এক পর্যালোচনা বৈঠকের পর মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন কয়েকদিনের অতি বর্ষণ এবং ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার ফলে আরামবাগ মহকুমার নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এর সাথে সাথে নদীতে জল বাড়ছে ফলে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা প্লাবিত এলাকা গুলি পরিদর্শন করলাম এবং একটি পর্যালোচনা বৈঠকের মাধ্যমে স্থির হয়েছে যে, বিপদজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার আগেই যাতে প্রশাসনিক ভাবে বয়স্ক, শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া যায় তার ব্যবস্থা করার সাথে সাথে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মস্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ একটিও প্রাণ যাতে না যায় তার সব রকম ব্যবস্থা করতে হবে। সেই মতো আমরা যথাযথ ব্যবস্থা অবলম্বন করছি। ফ্লাড সেন্টার গুলি, স্কুল বাড়ি এমনকি বেসরকারি লজ গুলিকে ও তৈরি রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে সেখানে আপৎকালীন অবস্থায় মানুষকে সরিয়ে আনা যায়। এছাড়াও পর্যাপ্ত ত্রিপল এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন আরামবাগ এবং ঘাটাল মহকুমায় প্রতিবছর বন্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরির প্রস্তাব হলেও কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না যদিও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজের প্রচেষ্টায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান অবিলম্বে শুরু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এদিকে ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে হুগলির সঙ্গে মেদিনীপুরের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে নৌকো করে মানুষ কোনক্রমে যাতায়াত করছেন। বিশেষ করে দারকেশ্বর, মুন্ডেশ্বরীর জলস্পিতিতে মানুষ আতঙ্কিত রয়েছেন।