• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের আক্রমণ মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর

দিদি বললেন, একসঙ্গে বৈঠক হোক, তোমাদের এবং আমাদের একজন সব স্বাক্ষর করে দেবে। কে তাঁদের পিছনে আছে? কে মদত দিচ্ছে? আমি জানিনা জুনিয়র ডাক্তার কতজন আছে। তাঁরা বিভিন্নভাবে তামাক খাচ্ছেন, বিভিন্ন দলের।

এবার আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সোমবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন মন্ত্রী। সাংগঠনিক বৈঠক শেষ করে তিনি বহরমপুর সার্কিট হাউসে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো তাঁদের বাড়াবাড়ি। তাঁদের পিছনে কোনও পলিটিক্যাল শক্তি আছে। ডাক্তাররা রাজনীতি করেন? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্বাস নেই? মাসের মাইনে যখন পান, তখন বিশ্বাস হয়? এরপরে আপনাদের যখন গ্রেড বাড়াতে হবে, তখন মমতা ব্যানার্জী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস থাকবে। আর এখন বিশ্বাস নেই? এটা কোন দ্বিচারিতা? যা করছেন অন্যায় করছেন। বাংলার মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন। এই ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। ওরা চাইছে পাবলিকের সঙ্গে ঝামেলা হোক, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হোক। সেটা মানুষকে দেখাবে।

মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন, এসো কথা বলি। ওরা বলছে, আগে রেকর্ড করতে হবে, তা না হলে যাবো না। তাঁরা কোন ধরনের লেখাপড়া শিখেছেন? মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারছেন না, তার একটা সৌজন্যতা আছে । কিন্তু এটা খুব বাড়াবাড়ি হচ্ছে।’ এদিন মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা আন্দোলন করছে, কিন্তু আমার মতে, এই আন্দোলন থেকে তাঁরা ছিটকে গিয়েছে। প্রথমে মানুষের একটা আওয়াজ উঠেছিল। কিন্তু এখন ছিটকে ছিটকে, পিছলে পিছলে কোথায় চলে যাচ্ছে, তার কোন ঠিক নেই। তাঁরা কিছু করতে পারবে না। তাঁরা বলছেন দিদির পদত্যাগ চাই, তাঁদের স্পর্ধা কত। দিদি সেখানে গেলেন। বললেন, আমি দিদি হিসেবে এসেছি। তাঁরা বলছেন, রেকর্ড করতে হবে।

দিদি বললেন, একসঙ্গে বৈঠক হোক, তোমাদের এবং আমাদের একজন সব স্বাক্ষর করে দেবে। কে তাঁদের পিছনে আছে? কে মদত দিচ্ছে? আমি জানিনা জুনিয়র ডাক্তার কতজন আছে। তাঁরা বিভিন্নভাবে তামাক খাচ্ছেন, বিভিন্ন দলের। আমি সেটা এখন বলবো না। কাজে ফিরে আসুন’ এরপর মন্ত্রী বলেন, ‘পাবলিক কিন্তু এখনও ধৈর্য ধরে আছে। তারা কোনও আন্দোলনও করেনি। এটা কলকাতা কেন্দ্রিক, মিডিয়া কেন্দ্রিক খাওয়ানো হচ্ছে। এই হল, তাই হল। এটা গল্প। নির্বাচনের আগে বলা হয়েছিস, বি জে পি এসে গেল। সেটা যেমন গল্প ছিল, এটাও তেমনি গল্প। কিচ্ছু হবে না। সরকার আছে, থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী আছেন, থাকবেন। জেলা পরিষদ আছে, থাকবে। এল এল আর (লোকাল লাইব্রেরি অথরিটি) আছে, থাকবে। মন্ত্রীরা আছেন, থাকবেন। পঞ্চয়েত আছে, থাকবে। পঞ্চায়েত সমিতি আছে, থাকবে।, দল আছে, থাকবে। এবার আমি জিজাসা করি, এই মুহূর্তে মমতা ব্যানার্জীর বিকল্প কে আছে রাজ্যে? এটা ডাক্তারদের বলছি, যে সমস্ত সাংবাদিক বন্ধু চিমটি কাটছেন, তাদের বলছি। আমাকে বলুন।’