সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজে আর কোনও ফাঁকফোকর রাখতে চাইছে না জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর। তাই একাধিক বৈঠক করে ২০২৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে তৎপর মন্ত্রী পুলক রায়। প্রতি সোমবার দপ্তরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে প্রতি সপ্তাহের কাজের খতিয়ান নিচ্ছেন তিনি। এই কারণে দপ্তরের কাজকর্মের তৎপরতা আরও বেড়েছে। আরও ৮১ লক্ষ পরিবারে জল পৌঁছে দিতে কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই ৯৪ লক্ষ পরিবারের পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে।
শুক্রবার ঝাড়গ্রামে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের একটি রিভিউ মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বৈঠকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার জল জীবন মিশনের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও এরকম পাঁচটি জেলার কাজকর্ম নিয়ে রিভিউ মিটিং করা হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন বিভিন্ন জেলার কাজকর্ম নিয়ে এই মিটিং চলবে বলে জানা গিয়েছে। মিটিংয়ে দপ্তরের সব বিভাগের আধিকারিকদের সমন্বয় রক্ষা করে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজে যাতে কোনও ফাঁকফোকর না থাকে সেই দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পুলক রায়, দপ্তরের মুখ্যসচিব সুরেন্দ্রনাথ গুপ্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং চিফ অনিমেশ ভট্টাচার্য, চিফ ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু চৌধুরি, মন্ত্রী পুলক রায়ের প্রাইভেট সেক্রেটারি জগন্নাথ ভৌমিক সহ অন্যরা। বৈঠক শেষে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হল মন্ত্রী পুলক রায়। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা রাজ্যের ৯৪ লক্ষ পরিবারকে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিয়েছি। এছাড়াও ৮১ লক্ষ পরিবারকেও জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা আজ পাঁচ জেলাকে নিয়ে রিভিউ মিটিং করলাম। বাকি কাজগুলি যাতে তাড়াতাড়ি করা যায় সে জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকরা প্রতিনিয়ত কাজ করছে।’ তিনি আরও জানান, এই প্রকল্পের আওতায় ঝাড়গ্রামে প্রায় ৬০ শতাংশ পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। বাঁকুড়ায় ৫৮ শতাংশ পরিবারে পানীয় জল পৌঁছেছে। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের ৫০ শতাংশের বেশি পরিবারে পৌঁছে গিয়েছে জল জীবন মিশনের পানীয় জল।
মন্ত্রীর কথায়, ‘আগামীদিনে আমরা পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জল জীবন মিশন প্রকল্পকে আরও মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের আধিকারিকরা প্রতিনিয়ত কাজ করছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’