খড়্গপুরের ঐতিহ্যমন্ডিত দশেরা উৎসব এবার শতবর্ষে পা দিল। শহরের নিউ সেটেলমেন্টে রাবণপোড়া ময়দানে এই দশেরা উৎসব দেখতে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়।
রেল শহর খড়্গপুরে ব্রিটিশ আমলে ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মানুষ বিশেষ করে ব্যবসায়ী মহল এই দশেরা উৎসবের সূচনা করেন। তারপর থেকে ব্যবসায়ীরাই কমিটি তৈরি করে এই দশেরা উৎসব পরিচালনা করতেন। বর্তমানে ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাবণ পোড়ার এই আকর্ষণীয় মঞ্চে রাজনৈতিক নেতারাও জড়ো হয়েছেন। কিন্তু রাবণ পোড়ার দিকে মানুষের অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ অটুট থেকে গিয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেরোনো আখড়া প্রথমে জড়ো হয় রাবণ ময়দানে। তারপর শুরু হয় রাম রাবণের যুদ্ধ । রামের ছোঁড়া তীর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে সোজা ছুটে যায় রাবণের দিকে । মুহূর্তে জ্বলে ওঠে রাবণ। আতশবাজির তীব্র আকর্ষণীয় ঝলকানি দেখতে রাবণ পোড়া ময়দানে শুধু খড়্গপুর নয়, আশেপাশের বিভিন্ন জেলা, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও লোক ভিড় জমান।
রাবণের মূর্তি তৈরি হওয়া শুরু হতেই মানুষের মনে ঔৎসুক্য দানা বাধতে থাকে । দশ মাথার রাবণ তৈরি হওয়া দেখতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ভিড় জমায় রাবণ পোড়া ময়দান সংলগ্ন একটি ক্লাবে। দশেরা কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি প্রদীপ সরকার জানান, এই বছর রাবণের পাশাপাশি মেঘনাদ এবং কুম্ভকর্ণকেও জ্বালানো হয়। আতশবাজির বর্ণাঢ্য প্রদর্শনী ছিল বড় আকর্ষণ। জ্বলন্ত তীর ছুঁড়ে রাবণের দেহে অগ্নিসংযোগ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলার এসপি ধৃতিমান সরকার, পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ সহ পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর।