• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

মাঝরাতে আর জি করের জরুরি বিভাগে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, ভাঙা হল গেট

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালে ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়।

‘রাত দখল’ কর্মসূচি চলাকালীন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। তছনছ জরুরি বিভাগ। বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আর জি করের লাগোয়া এলাকায় ‘রাত দখল’ কর্মসূচির একটি মিছিল চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় আর জি করের জরুরি বিভাগের বাইরে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়।

আর জি কর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমে ভাঙচুর চলানো হয়। আর জি করের পুলিশ ফাঁড়ি এবং আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

ঘটনাস্থলে কিছু পুলিশকর্মী উপস্থিত থাকলেও প্রাথমিকভাবে তারা কিছু করে উঠতে পারেননি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নামানো হয় র‌্যাফও। ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একাধিক গাড়ি। দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটে জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী।

রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন একেবারেই নিয়ন্ত্রণে।’ এদিকে কে বা কারা এই হামলা চালাল, বৃহস্পতিবার সকাল অবধি তা স্পষ্ট নয়। ওই হামলাকারীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

এই হামলা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের পালা চলছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। কাপুরষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন।

অভিষেক লিখেছেন, আজ (বুধবার) রাতে আর জি করে গুন্ডামি এবং ভাঙচুরের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়, সেই আর্জি জানিয়েছি। তাদের রাজনৈতিক যোগ যা-ই হোক না কেন।

একই সঙ্গে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি ন্যায্য। সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাওয়া ন্যূনতম দাবি। তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।