মেদিনীপুর মেডিক্যালের ন্যায্যমূলের ওষুধের দোকান থেকে ছত্রাক ভর্তি স্যালাইন বিক্রি

প্রসবের পরই প্রসূতির মৃত্যু। আর তার কয়েকদিনের মধ্যেই মৃত্যু এক সদ্যোজাতর। এই দুই ঘটনা ঘিরে আপাতত তোলপাড় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ। অভিযোগ, নিম্নমানের স্যালাইন দেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। শিশুটির মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। এরই মধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে বিক্রি হওয়া স্যালাইনে মিলল ছত্রাক। আর সেই ঘটনা ঘিরেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

রোগীর আত্মীয় পরিজনদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের সাহসপুরের তপন দোলইয়ের স্ত্রী সুদীপাকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমাতে। ভর্তি হওয়ার পরপরই ওয়ার্ড থেকে বলা হয়, স্যালাইন কিনে আনতে। সুদীপার দাদা বিভাস মেডিক্যাল কলেজের ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকান থেকে ৬টি স্যালাইন কেনেন। তড়িঘড়ি মাতৃমাতে নিয়ে আসেন সেই স্যালাইন।

সেই সময় হাসপাতালে কর্মরত আয়া দেখেন, রিঙ্গার ল্যাক্টেট এলআর স্যালাইনের ভিতরে ছত্রাক ভর্তি। ওই স্যালাইনের কোনও ব্যাচ নম্বরও ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে বিভাসবাবু ওই স্যালাইন ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানে নিয়ে যান। ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের দায়িত্বে থাকা স্বরূপকুমার সি বলেন, সরকারের থেকে আমাদের কাছ থেকে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। তবে আমরা এই এলআর স্যালাইন বিক্রি বন্ধ রেখেছিলাম। আজ কয়েকটা মাত্র বিক্রি করেছি।


এই বিষয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার জয়ন্তকুমার রাউত বলেন, আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ পড়েনি। তবে আমাদের রাজ্য সরকার এবং মেডিক্যাল কলেজের তরফ থেকে ছত্রাক ভর্তি এলআর স্যালাইন নিষিদ্ধ বিক্রি করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী বলেন, এরকম ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানি না। এখনও কোনও অভিযোগপত্র জমা পড়েনি।