• facebook
  • twitter
Thursday, 14 November, 2024

কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মেদিনীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী সুজয়ের

ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রা বিভিন্ন ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের এবং বুধবার সকালে ভোট দিতে আসা ভোটারদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করছেন।

তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় হাজরা। ফাইল চিত্র।

বুধবার সকালে মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুজয় হাজরা তাঁর স্ত্রী তথা মেদিনীপুর পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরা কে সঙ্গে নিয়ে মেদিনীপুর শহরের মির্জাবাজারের স্মৃতিকণা স্কুলের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে তাকে বাধার মুখে পড়তে হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের কে ভোট গ্রহন কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেন। জানানো হয় প্রার্থী ভোট গ্রহন কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুজয় হাজরা বারবার বলতে থাকেন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী এখানকার ভোটার।
এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান দের সঙ্গে তাঁর এবং দলের কর্মী সমর্থকদের বচসা বেঁধে যায়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষন পরে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ভোট দেন। সুজয় বাবু এতে ক্ষুব্ধ হন।
ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রা বিভিন্ন ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের এবং বুধবার সকালে ভোট দিতে আসা ভোটারদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করছেন।
বুধবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত ভোটের হার মাত্র ৩০ শতাংশ হওয়ার জন্য তিনি ভোট কর্মীদের এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক দের দায়ী করে বলেন , সকাল থেকেই বহু ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন খারাপ । কোথাও মক পোল করা যায় নি।
বেশ কিছু কেন্দ্রে এত কম পরিমাণ আলো লাগানো হয়েছে যে কিসে ভোট দিয়েছেন তা বোঝা যাচ্ছে না। কোথাও ভি ভি প্যাডে আলো জ্বলছে না।
এদিকে বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায় অভিযোগ করেছেন গতকাল রাত থেকে পুলিশ শালবনি, চাঁদড়া, মেদিনীপুর থেকে বিজেপির বহু নেতা কর্মীদের অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় গিয়ে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে ছেন। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল ভোট লুট করতে চাইছে।
অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর জেলার সাংগঠনিক চেয়ারম্যান বিধায়ক দীনেন রায় জানান , মেদিনীপুরে বরাবর শান্তি পূর্ন ভোট হয়। বিজেপি হারছে জেনেই অবান্তর সব অভিযোগ করছে। মানুষ ওঁদের সঙ্গে নেই। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছে।