ঘূর্ণিঝড়েও স্বাভাবিক থাকছে মেট্রো পরিষেবা

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র দাপটে শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়তে চলেছে। বন্ধ থাকছে প্রায় সব যানবাহন ব্যবস্থা। কিন্তু তার মধ্যেও মেট্রোরেল পরিষেবা অব্যাহত থাকছে। বৃহস্পতিবার একটি প্রেস বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন, মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতোই ঘূর্ণিঝড়ের সময়েও মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। সময়সূচির কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না।

তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য,’সকলেই জানেন, ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে। যে কোনও সময়ে তার ‘ল্যান্ডফল’ হতে পারে। এই অবস্থায় অনেকেই জানতে চাইছেন, মেট্রো পরিষেবা কেমন থাকবে? অর্থাৎ, ঝড়ের সময়ে মেট্রো বন্ধ থাকবে কি না। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, মেট্রো রেল কলকাতার লাইফলাইন। পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকবে। ঝড়ের কারণে তা বন্ধ হবে না।’

কৌশিকবাবু এদিন বলেন, বাদে দক্ষিণেশ্বর ও দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত শেষ মেট্রো ছাড়ে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে (ব্যতিক্রম শনি ও রবিবার)। ঘূর্ণিঝড়ের সময়েও সেই সময়সূচির কোনও বদল হচ্ছে না। একইভাবে সবুজলাইনে হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত গঙ্গার তলা দিয়ে যে মেট্রো পরিষেবা চালু আছে, সেটাও স্বাভাবিক থাকবে। এই রুটেও পূর্বের সময়সূচিতে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। এই রুটে সল্টলেক থেকে শিয়ালদহের মেট্রো রেলের সময়সূচিও অপরিবর্তিত থাকছে।


এদিকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত যে মেট্রো পরিষেবা প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকে। ঘূর্ণিঝড়ের সময়েও সেই সময়সূচি একই থাকছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র। এটি ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। যার ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, বাংলা ও ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র ঘন্টায় গতিবেগ হবে ১২০ কিলোমিটার। শহর কলকাতায় সেই গতিবেগ ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটারের কাছাকাছি পৌঁছবে। ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর ও কলকাতা শহরজুড়ে। শহরে ব্যাহত হবে স্বাভাবিক জনজীবন। সেজন্য প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যান চলাচল ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শিয়ালদহ ও হাওড়া বিভাগে বহু ট্রেন পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। গঙ্গায় ফেরি পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে বিমান পরিষেবা। তা সত্ত্বেও কোনও আঁচ পড়বে না মেট্রো পরিষেবায়। এই পরিষেবার অধিকাংশ রুট ভূগর্ভ দিয়ে যাওয়ায় অনেকটাই নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে।