ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও সোনার দোকানের মালিকদের নিয়ে বৈঠক পুলিশের, সেফটি ও সিকিউরিটি অগ্রাধিকার

রানিগঞ্জের সোনার দোকানে ডাকাতি থেকে শিক্ষা

সীতারাম মুখোপাধ্যায়, আসানসোল: আসানসোলের রানিগঞ্জ শহরে একটি সোনার দোকানে গত ৯ জুন ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট তৎপর ও সক্রিয় হয়েছে। সব থানাকে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সেই মতো দুর্গাপুর থানাও শহরের বুধবারে আয়োজিত হলো সোনার দোকান, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক , আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার সেফটি ও সিকিউরিটি আরো কড়া করার পথে হাঁটলো। গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর থানার পুলিশের তরফে একটি বৈঠক করা হয় ।

দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারের সৃজনীতে হওয়া এদিনের বৈঠক দুর্গাপুর থানা এলাকার বিভিন্ন সোনার দোকানের মালিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ও স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার আধিকারিক মিলিয়ে ১০০ জনকে ডাকা হয়েছিলো। ছিলেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি ( দূর্গাপুর) সুবীর রায়, সিআই (এ) রনবীর বাগ, দূর্গাপুর থানার ওসি প্রসেনজিৎ রায় সহ ছয়টি ফাঁড়ির ইনচার্জরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সবাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতন করে বলা হয়েছে, তাদেরকে কি কি করতে হবে।


এদিন পুলিশের পক্ষ অভিযোগ করে বলা হয়, দুর্গাপুরের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজাররা পুলিশের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা বেশ খানিকটা হলেও গা-ছাড়া ভাব দেখান তাদের কি কি সমস্যা তারা তা বলেন না। এই বৈঠকে দুর্গাপুর থানার সিটি সেন্টার ফাঁড়ির ইনচার্জ কার্তার সিং সরাসরি বলেন, সিটি সেন্টার এলাকায় একাধিক বেসরকারি ও সরকারি ব্যাংকের শাখা রয়েছে। সেই সব শাখার ম্যানেজারদের কাছে ফাঁড়ির ইনচার্জের নম্বর নেই। পুলিশ যখন ব্যাংকগুলিতে যায় তখন সমস্যায় পড়তে হয়। এইসব ব্যাঙ্কের ম্যানেজাররা পুলিশকে গুরুত্ব দিতে চান না। পাশাপাশি, দোকানে একজন সিকিউরিটি গার্ড আছেন। পুলিশ দুপুরে গিয়ে দেখেছে, তিনি নেই। জানতে চাওয়া হলে, বলা হয়েছে তিনি লাঞ্চ করতে গেছেন।

বৈঠক শেষে এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায় বলেন, সম্প্রতি রানিগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এইসব ঘটনার পরে সেফটি ও সিকিউরিটি নিয়ে দূর্গাপুর শহরে যেসব ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার ম্যানেজার ও সোনার দোকানের মালিকদের এদিন একটি বৈঠক করা হলো। তাদেরকে সেফটি ও সিকিউরিটি নিয়ে কি কি করতে হবে সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কি কি করা যাবেনা, তাও বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কি করে ভালো স্টোর করে রাখতে হবে, তা বলা হয়েছে। সিকিউরিটি গার্ডের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পুলিশের উদ্যোগে হওয়া এই বৈঠক শেষে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও সোনার দোকানের মালিকরা খুশি।