• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ব্যাঙ্ক শিল্প বাঁচাতে ধর্মঘটের সমর্থনে সভা

এই ধর্মঘটের ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হলেও আখেরে যে তাহারা লাভবান হবেন সেই কথাই বললেন সিপিআইএম পলিট ব্যুরো নেতা মহম্মদ সেলিম।

Protesters, enraged crowd of people silhouette vector, angry mob

আজ স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাংক-এর সামনে ব্যাংক ধর্মঘটের সমর্থনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই ধর্মঘটের ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হলেও আখেরে যে তাহারা লাভবান হবেন সেই কথাই বললেন সিপিআইএম পলিট ব্যুরো নেতা মহম্মদ সেলিম।

তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাংক শিল্পের মত অত্যন্ত লাভজনক সংস্থাগুলোকে জলের দরে বিক্রি করছেন আম্বানি ও আদানি গ্রুপ গুলোকে।

ফলে সাধারণ মানুষ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং দেশের আর্থিক পরিকাঠামো ধ্বংস হবে। জনগণের গচ্ছিত অর্থ ব্যাংকে থাকলেও এই নতুন আইনের ফলে সামান্য অর্থ পাওনাদারকে দেবে নব্য কমিটি।

বড় বড় পুঁজিপথিকদের দরাজ হাতে মোদি সরকার ঋণ দিয়ে সমস্ত ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে দেওয়ার মত ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন মহম্মদ সেলিম।

অন্যদিকে সিটু নেতা অনাদি সাহু বলেছেন ব্যাংক নিয়ে ২০০৭-০৮ সালে আমেরিকার ভয়ানক কথা বিশ্বের মানুষ জানেন। লাভবান এই শিল্পকে সরকার নিজে হাতে ধ্বংস করছে।

আদানিদের অনাদায়ী ঋণ মকুব হয় কিন্তু কৃষকদের সামান্য লোন মকুব করেন না যার ফলে দলে দলে কৃষকরা আত্মহত্যা করছে। তিনি এই অসাম্য পরিবেশ কে জাতীয় লজ্জা বলে উল্লেখ করেছেন। সামগ্রিক এই পরিষেবা মানুষের বিপদ ডেকে আনছে বলেও তিনি দাবি করেন।

সেই সমূহ বিপদ থেকে মুক্ত হতে এআইবিওইউ, ইউএফবি, সিটু, রাজ্যের ইউএবিআই ও বিইএফ-এর মতো বহু ব্যাংক সংগঠনগুলো এদিন শরিক হয়ে সরব হয়েছে।

এই বিষয়ে রবীনদেব, আইনজীবী শায়ন ব্যানার্জীরা বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে জয়দীপ দাশগুপ্ত , সৌম্য দত্ত ও গৌতম নিয়োগিরা এদিন ধর্মঘটের নেতৃত্ব দেন।