বাঁশদ্রোনির ঘটনায় অবশেষে মুখ খুললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

মর্মান্তিক ঘটনায় ছাত্র মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়ে যায় ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দীনেশনগর অঞ্চল। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে স্থানীয় কাউন্সিলরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ উঠছে। কিশোরের মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা পর শুক্রবার দুঃখ প্রকাশ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ছাত্রের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাসের দিলেন তিনি। তিনি জানান, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তিনি মর্মাহত এবং দুঃখিত। দুঃখে ভাষা হারিয়েছেন তিনি। তবে ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন মেয়র। কাজের বরাত কোন ঠিকাদার সংস্থা কে দেওয়া হয়েছিল সেটা খুঁটিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। তবে এই সমস্ত অঞ্চলের অনুন্নয়নেরে জন্য এদিন বাম আমল কে দুষলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বাম আমলে এই সমস্ত অঞ্চলে নিকাশি ব্যবস্থা করা হয়নি। কিন্তু তৃণমূল সরকার আসার পর কেইআইপি-এর মাধ্যমে কাজ শুরু হয়। তিনি বলেন যেহুতু নিকাশি কাজ চলছিল তাই রাস্তার কাজ করা হয়নি। কারণ সেই জায়গায় বড় বড় নিকাশি পাইপ লাগানোর কাজ চলছিল। মেয়রের দাবি, পুরসভা কেআইপি -কে বলেছিল রাস্তার তৈরির টাকা কলকাতা পুরসভাকে দিয়ে দিতে। টাকা দিলে পুরসভা রাস্তা তৈরি করে দিত। কিন্তু কেআইপি -এর নিয়ম অনুযায়ী সেটা করা সম্ভব হয়নি। ফলে রাস্তার কাজ আটকে গিয়েছিল বলে যুক্তি সাজালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি এই ঘটনার পর স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, কোথাও এই ধরনের কাজ কোথায় হলে, সহযোগী দের রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে যাতে এই ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।