‘অনেকেই বলছেন তৃণমূল খারাপ! এসব নির্বাচনের সময় দেখা যাবে’, ধর্ণা মঞ্চ থেকে ফিরহাদ-বার্তা

আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল কলকাতার রাজপথ। আন্দোলন, প্রতিবাদ যেন প্রবাহিত হচ্ছে রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে জনসাধারণের শিরায়-শিরায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শুক্রবারই এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন তৃণমূলের মহিলা সাংসদদের নিয়ে। এবার রবিবার দুপুরে কলকাতার চেতলা অহিন্দ্র মঞ্চের সামনে আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে ধর্ণায় বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম। ধর্ণা মঞ্চে তাঁর সাথে ছিলেন রাজ্য তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা তথা ফিরহাদ কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিমও। কলকাতা পুরসভায় মেয়েদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আশ্বাস দিয়ে এদিন ফিরহাদ বলেন, “কলকাতা পুরসভায় মেয়েদের যথেষ্ট নিরাপত্তা রয়েছে। আমার পুরসভায় কোনও মেয়ে সূর্যান্তের পর কাজ করেন না। পুরভবনেও থাকেন না। তবে যখন এমন ঘটনা ঘটেছে, তখন আমি বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার বন্দোবস্ত অবশ্যই করব।” পাশাপাশি, নারী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পটি দ্রুতই বাস্তবায়িত হবে, আশ্বাস দিলেন মেয়র।

রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ শনিবার নিজ এক্স হ্যান্ডেলে আরজি কর ঘটনা প্রসঙ্গে লিখেছিলেন, “আমাদেরও কিছু ভুল শুধরে সঠিক পদক্ষেপে সব চক্রান্ত ভাঙতেই হবে।” তাঁর প্রেক্ষিতেই ফিরহাদ ধর্ণা মঞ্চ থেকে বলেন, “প্রশাসন প্রথম থেকেই সবরকমভাবে সহযোগিতা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছিলেন, সিট্ গঠন করা হয়েছিল।

সুতরাং প্রশাসন কলকাতা পুলিশের তদন্তে তাকে সহযোগিতা করতে কোনো রকম খামতি রাখেনি। একাধিক পদক্ষেপ করেছে। আর বর্তমানের পরিস্থিতিটা রাজনীতি করার সময় নয়। এখন অনেকেই বলছেন তৃণমূল খারাপ! এসব নির্বাচনের সময় দেখা যাবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিৎ, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রার্থনা করা। এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ যেন আর কেউ করার সাহস না পায় তা সুনিশ্চিত করতে হবে।”


আরজি কর কান্ড নিয়ে বিরোধীরা আক্রমণ শানাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার এ প্রসঙ্গে ফিরহাদের মন্তব্য, “একটি নিন্দাজনক ঘটনা ঘটেছে। সিবিআই এর তদন্ত করছে। আমরা কেবল তাড়াতাড়ি তাঁদের তদন্ত শেষ করতে বলতে পারি। এটাই আমাদের দাবি, দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আদালতে পেশ করা হোক। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই গুজব রটাচ্ছেন। চাইলে আমিও দুটো রং চড়িয়ে কথা বলতে পারতাম, কিন্তু বলবো না। সংবেদনশীল ঘটনাটি বর্তমানে সিবিআই তদন্তের অধীন। গুজব রটানো হলে তদন্তের অভিমুখ বদলে যায়, এতে তদন্তের কাজেই নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।”