দেউচা পাচামির শতাধিক জমিদাতার হাতে পাট্টা এবং চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিশ্রুতি দিলেন স্থানীয়দের কর্মসংস্থানেরও।
পাশাপাশি, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হবে বলেও কথা দিলেন মুখ্যমন্ত্র।
বুধবার নবান্নে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে এসেছিলেন বীরভূমের দেউচা পাচামির জমিদাতাদের পরিবার।
এদিন ৬ জমিদাতার পরিবারের সদস্যদের হাতে পাট্টা ও নিয়োগপত্র তুলে দেন স্বয়ং মমতা। বাকিদের হাতে প্রশাসনের তরফে পাট্টা ও নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।
বীরভূম থেকে আসা পরিবারের সদস্যরা যাতে সাবধানে বাড়িতে ফিরতে পারেন তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেন তিনি। অভিভাবকের মতো পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবরও নেন মমতা।
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান দেউচা পাচামির জন্য ১০ হাজার কোটির পুনর্বাসন প্যাকেজ ধার্য করেছে রাজ্য সরকার। জমির বদলে জমি দেওয়া হবে।
জমিদাতাদের পরিবারের একজন সদস্য যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবেন। তাঁদের জন্য ৫১২৫ টি শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। বীরভূমের নতুন এই প্রকল্প নিয়ে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী।
দেউচা পাচামির রাজ্যকে নয়া দিশা দেখাবে বলে আশা করছেন তিনি। দেউচা-পাচামি কয়লা ব্লক তৈরি হলে আগামী ১০০ বছর বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হবে না।
তাঁর আশ্বাস, এই প্রকল্পের জন্য যাতে পরিবেশের কোনও ক্ষতি না হয়, সেই দিকেও সতর্ক প্রশাসন। জমির দামের চেয়ে দ্বিগুণ দাম দেওয়া হচ্ছে।
যাঁরা জমি দিয়েছেন, তাঁদের প্রথমে ৬০০ বর্গফুটের উপর বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এখন ঠিক হয়েছে, ৭০০ বর্গফুটের জমির উপর বাড়ি বানানোর টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
এছাড়া আর্থিক সহায়তা মূল্য ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দেউচা পাচামিতে দেড় হাজার জন জমি দিতে সম্মত হয়েছেন।
তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ দেওয়া হচ্ছে ২০৩ পরিবারকে জমির বদলে জমি দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প তৈরি হলেই স্থানীয়রাই চাকরি পাবেন। উন্নয়ন হবে এলাকার।
রাস্তা, স্কুল তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার। সবমিলিয়ে এই প্রকল্প তৈরি হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।