থানা ও গোয়েন্দা দপ্তরকে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার নির্দেশ মনোজ ভার্মার 

কলকাতায় অপরাধ রুখতে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার উপর জোর দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।সমস্ত থানার ওসি এবং গোয়েন্দা দপ্তরকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার পরেই পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। এরপরই নড়েচড়ে বসেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। ঘটনার জেরে এবার ইন্টিলিজেন্স নেটওয়ার্কে জোর দিতে নির্দেশ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। শনিবার সমস্ত থানার ওসি এবং গোয়েন্দা দপ্তরকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানেই আধিকারিকদের অপরাধ দমনে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

 
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশদের নিজেদের এলাকার সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের উপর নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।  নেটওয়ার্ক আরও উন্নত করতে হবে গোয়েন্দা বিভাগকে। শহরের অস্ত্র কারবারি ও সরবরাহকারীদের চিহ্নিত করে ধরপাকড় বাড়াতে হবে। বেআইনি অস্ত্র পাচারের ডেরায় হানা দিয়ে অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কসবা কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশকে আরও সচেতন হতে হবে. কোনও বহিরাগত এলাকায় এসে বসবাস শুরু করলে তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখতে হবে। এক কথায়, পুলিশকে আগের তুলনায় অনেক বেশি সপ্রতিভ এবং সজাগ থাকতে হবে। 
 
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত কুমার ঘোষকে খুন করতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল কসবা কাণ্ডের মূল পান্ডা গুলজার। বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী পাপ্পু চৌধুরীর গ্যাংকে এই প্রস্তাব দিয়েছিল বলে পুলিশ জেরায় দাবি করেছে গুলজার। তদন্তে আরও জানা যায়, কাউন্সিলরকে খুন করতে বিহার থেকে মোট ৪ দুষ্কৃতী কলকাতায় আসে। এই ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই শার্প শ্যুটার। ঘটনার পরে মোট ৪ জন গ্রেপ্তার হলেও প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীদের অস্ত্র নিয়ে ঘোরার বিষয়ে তিরস্কারের মুখে পড়ে পুলিশ। এই ঘটনার পর শহরে অপরাধ দমন করতে এবার কড়া বার্তা দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।